// আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ ফসলি জমি থেকে অবাধে মাটি কাটা এবং অবৈধ ট্রাক্টর চলাচল রাস্তা নষ্ট করা রোধে অভিযান শুরু করেছেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা প্রশাসন। গত তিন দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৫টি ট্রাক্টর আটক করে জরিমানাসহ নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে । একই সাথে মাটি কাটা কাজে ব্যবহৃত তিনটি এক্সেভেটর মেশিন জব্দ করা হয়েছে। এই সাড়াশি অভিযানের ফলে মাটি কাটা বাহিনী প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখন দিনের পরিবর্তে গভীর রাতে এসব কারবার করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলা সদরের কাশিমালা, রামপুরা, সালগ্রাম, পাইকপাড়া, চাঁপাপুর, কুন্দগ্রাম. নসরতপুর, মুরইল, ছাতিয়ানগ্রাম, সান্তাহার পৌরসভা বশিপুর গ্রামে এলকাসহ বিভিন্ন এলাকায় এক শ্রেনির মাটি ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে এ´েভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইট ভাটাসহ বিভিন্ন মানুষের নিকট বিক্রি ও খননকৃত জমির মাটি ট্রাক্টরের মাধ্যমে বহন করে সরকারি পাকা রাস্তা নষ্ট করে ক্ষতিসাধন করে আসছিল। বিষয়টি আদমদীঘি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে আদমদীঘির সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ফিরোজ হোসেন ফোর্সসহ অবৈধ ভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা ও বহন করে রাস্তা নষ্ট রোধ করতে সাড়াশি অভিযান শুরু করেন। গত তিন দিনের অভিযানে বিভিন্ন ঘটনাস্থল থেকে মাটি কাটার সময় ৩টি এ´েভেটর মেশিন, ১৫টি ট্রাক্টর জব্দ করেন। গতকাল বুধবার (২৪ জানুয়ারী) সকালে সান্তাহার কলাবাগান এলাকা থেকে মাটি ভর্তি একটি ট্রাক্টর জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে ও আদমদীঘি সদরের পাইকপাড়া গ্রামে পুকুর খননের মাটি বহন করার সময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাতজন ট্রাক্টর মালিকের ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) ফিরোজ হোসেন। এছাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে এক্সেভেটর ও ট্রাক্টর আটক ঘটনায় আদমদীঘি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) ফিরোজ হোসেন জানান, এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে।