মাঘের শীতার্ত সন্ধ্যায়—-মহামান্য রাষ্ট্রপতির সান্নিধ্য কথা


— এবাদত আলী–
বাংলার চির অবহেলিত, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত ও চির বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যান্নোয়নের দিশারী বাংলার ভ্যাগ্যাকাশে দ্যুতি ছড়ানো ধ্রুবতারা, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষভেদি দিক নির্দেশনার সারথি। ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৬ সাল হতে ৬ দফাসহ বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রপথিক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত ৬৯- ৭০ এর গণ আন্দোলনও গণঅভ্যুত্থানের পাবনা জেলার অকুতোভয় অগ্রজ সৈনিক। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট আইনজীবী, অধ্যাপক, বিচারক, সাংবাদিক, কলাম লেখক, ‘‘ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’’ গ্রন্থের রচয়িতা, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রি শেখ হাসিনার আস্থাভাজন, অতি বিশ্বাসী, নির্মোহ-নির্লোভ, ত্যাগি, নিরহংকার ও জননন্দিত নেতা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন এবং গত ২৪ এপ্রিল-২০২৩ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।
শপথ গ্রহণের পরপরই ১৫ মে থেকে ১৮ মে’২০২৩ পর্যন্ত ৪ দিনের সরকারি সফরে তিনি তাঁর নিজ জেলা ও জন্মস্থান পাবনায় আগমণ করেন। সেসময় ১৬ মে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বিদ্যাপীঠ পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে তাঁকে ঐতিহাসিক নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। পাবনা জেলার প্রায় ২৯ লাখ জনগণের অভিভাবক হিসেবে তাঁকে স্মরণকালের সেরা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এরপর তিনি আরো একবার পাবনায় এসেছিলেন।
এবারে তাঁর পাবনা সফরটি ছিলো তৃতীয় সফর এবং নিতান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। পিতা মাতা ও শশুর শাশুড়ির কবর জিয়ারত এবং তাঁর অতীত স্মৃতি বিজড়িত স্থানে একটু সময় দেওয়া। ৩ দিনের সফরে তিনি পাবনায় আগমণ করবেন বলে পাবনার জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান জানান। পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী জানান মহামান্য রাষ্ট্রপতির আগমণকে কেন্দ্র করে সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তার পাবনায় আগমণের নির্ধারিত তারিখ ছিলো ১৫ জানুয়ারি। সেমতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে রওনাও হয়েছিলেন। কিন্তু শীতের ঘন কুয়াশার কারণে তা স্থগিত করা হয়। ১৬ জানুয়ারি’ ২০২৪ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে তিনি হেলিকপ্টার যোগে ঈশ্বরদী বিমান বন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়ক পথে পাবনা সার্কিট হাউসে পৌঁছেন। এবারের সফরেও তিনি পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন বলে সফর সুচিতে উল্লেখ করা হয়। প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে ডিউটি পাশ এবং করোনা টেস্ট করাতে হবে। সেটা আমরা ১৫ তারিখেই করিয়েছিলাম।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা পাবনায় পৌঁছানোর পর পাবনা সার্কিট হাউসে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় তাঁকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পৌর সভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক কামরুল হাসান রন্টি প্রমুখ।
সার্কিট হাউস থেকে সন্ধ্য্যায় তিনি পাবনা ডায়াবেটিক সমিতিতে যান। সেখানে তার সহপাঠি ও বাল্য বন্ধু পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। সেখানে তিনি প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। এরপর পায়ে হেঁটে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত আড্ডাস্থল লক্ষী মিষ্টান্ন ভান্ডারে গিয়ে মালিক ও কর্মচারিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। লক্ষী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক ভোলা নাথ ঘোষ বলেন, আমাদের প্রিয় মানুষ মহামান্য রাষ্ট্রপতি আজ আমার দোকানে এসেছিলেন। এসে আমাদের সাথে কথা বল্লেন। কেমন আছি জানতে চাইলেন। খোঁজ খবর নিলেন, খুবই খুশি হয়েছি। ভোলা নাথ ঘোষ বলেন, আমার এই দোকানে তিনি এক সময় আড্ডা দিতেন। আমাদের এখানকার সকালের নাস্তা তিনি খুবই পছন্দ করতেন। এত বড় মানুষ হয়েও তিনি এখনো তেমনি নিরহংকারি আছেন। আমাদের দোকানকে তিনি এখনো মনে রেখেছেন ভেবে খুব ভালো লেগেছে।
এরপর তিনি যান পাবনা প্যারাডাইস সুইট এ। সেখানে তিনি সবার সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং নিজের পছন্দের ঝুরি চানাচুর ও বুন্দিয়া খান। এদিকে পাবনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ তাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান ছিলেন। এক সময় পাবনা প্রেসক্লাবে পৌঁছলে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি এবি এম ফজলুর রহমান ও সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তিনি সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। আনন্দঘন পরিবেশে রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, পাবনা প্রেসক্লাব ও পাবনার সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার আজীবন ও অন্তরের সম্পর্ক। আমি প্রাণ দিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানকে লালন করি তার মধ্যে পাবনা প্রেসক্লাব অন্যতম। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, আমি পাবনা জেলার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। এই জন্য কোন সমালোচনা বা পিছু কথা আমি মনে রাখিনা। আমি আমার সাধ্য মত জেলার উন্নয়নে কাজ করবো। আমি ইছামতি নদীর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ সেনা বাহিনীর হাতে দিয়েছি। যাতে করে একটি দৃষ্টি নন্দন শহর হয়। আমি ৫শ বেডের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহায়তায় পাবনার উন্নয়নে আমি কাজ করেই যাবো। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আরো বলেন, আমি পাবনা প্রেক্লাবের আজীবন সদস্য। প্রেসক্লাবের নিজস্ব ভবন তৈরিতে আমার সার্বিক সহায়তা থাকবে।
মঙ্গলবার প্রচন্ড শীত ও শৈত্য প্রবাহ বহমান সন্ধ্যায় পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ আড্ডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবুদ্দিন এসব এসব কথা বলেন ও স্মৃতিচারণ করেন। পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোঃ সালাহ উদ্দিন আহমেদ, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন, রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রউিল ইসলাম রবি, সহপাঠি ও বাল্য বন্ধু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিত কুমার নাগ, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল,পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন বেবী ইসলাম, রাষ্ট্রপতির সহপাঠি ও বাল্য বন্ধু সাংবাদিক কলামিস্ট এবাদত আলী, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল মতীন খান, দৈনিক বিবৃতি সম্পাদক ইয়াছিন আলী মৃধা রতন, দৈনিক সিনসা পত্রিকার সম্পাদক এস এম মাহবুব আলম, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক উৎপল মীর্জা, সাবেক সম্পাদক আখিনুর ইসলাম রেমন, সহ সভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, সাবেক সহ সভাপতি আক্তারুজ্জামান আকতার, কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সম্পাদক আহমেদুল হক রানা, জিকে সাদী, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপন, মীর্জা আজাদ, ড. নরেশ মধু, কৃঞ্চ ভৌমিক, আব্দুল হামিদ খান, রুমী খন্দকার, রাজিউর রহমান রুমী,কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, সরোয়ার উল্লাস, ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল, কলিট তালুকদার, মোস্তাফা সতেজ, এম জি বিপ্লব চৌধুরী, রিজভী রাইসুল ইসলাম জয়, রফিকুল ইসলাম সুইট, শফি ইসলাম, মাহফুজ আলম,কানু সান্যাল, ছিফাত রহমান সনম, মোখলেসুর রহমান খান বিপ্লব, আবুল কালাম আজাদ, আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু, শাহীন রহমান, আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, শুশান্ত কুমার সরকার, সৈয়দ রুমি পাপুল, মোঃ আব্দুর রশিদ, মনিরুজ্জামান শিপন, পার্থ পবিত্র হাসান, ফাহিমুল কবির শান্তনু, মিজানুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, ইমরোজ খন্দকার বাপ্পি প্রমুখ।
পরদিন ১৭ জানুয়ারি মাঘ মাসের ৩ তারিখের হাড় কাঁপানো শীত ও শৈত্যপ্রবাহের মাঝে রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহাবুদ্দিনের কর্মসুচি ছিলো পাবনা আব্দুল হামিদ রোডের পাবনা মিডিয়া সেন্টারে। শীতার্ত সন্ধ্যায় আমরা জুবুথুবু অবস্থায় সেখানে হাজির হয়ে তাঁর প্রতিক্ষায় প্রহর গুনতে থাকি। প্রচন্ড শীতের মধ্যে তিনি আমাদের মাঝে এলেন। কোট-প্যান্টের সঙ্গে গলায় একটি মাফলার পেঁচানো, মাথায় একটি ‘গলা ও মাথার একসঙ্গের টুপি’ অজ পাড়াগাঁয়ের লোকেরা যাকে বলে কানটুপি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েও একজন নিরহংকারি সাদামাটা মানুষ। তাঁর সঙ্গে এলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোঃ সালাহ উদ্দিন আহমেদ, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম, একান্ত সচিব দিদারুল আলম, চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন, চিকিৎসক কর্ণেল এ কে এম ফজলুল হক, প্রধান কম্পটোলার মেজর তারেক হোসেন ভুঁইয়া, প্রেস সচিব জয়নাল আাবেদীন।
এর আগে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সহপাঠি ও বাল্য বন্ধুদের মধ্যে পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি পাবনা মিডিয়া সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবজিত কুমার নাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন বেবী ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মুক্তার হোসেন, সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবাদত আলী। আরো ছিলেন রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজউল রহিম লাল।
সাংবাদিকদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও নাট্যকার এইচ কে এম আবু বকর সিদ্দিক, আকতারুজ্জামান আকতার, মোস্তাফা সতেজ, মিডিয়া সেন্টারের সেক্রেটারী সাংবাদিক কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, আঁখিনুর ইসলাম রেমন, গোলাম খাজা সাদী, ছিফাত রহমান সনম,এস এম আলাউদ্দিন, আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু, শাহীন রহমান, আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, শাহীন রহমান, মোখলেসুর রহমান খান বিপ্লব, শুশান্ত কুমার সরকার, প্রবীর কুমার সাহা, আবুল কালাম আজাদ ও প্রেস ক্যামেরা পার্সন জিয়াউল হক রিপন প্রমুখ।
পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডে হাজী আক্তারুজ্জামান টাওয়ারের ৪র্থ তলায় পাবনা মিডিয়া সেন্টারে উপস্থিত হলে তাকে ফুল দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়। তিনি বলেন আজকে কোন আনুষ্ঠানিকতা নয় সাংবাকিদের সাথে শুভেচ্ছা বৈঠক। আমাদের দেখা হলো। এখানেই তো আমি বসতাম। তাই প্রাণের টানে এখানে এসছি প্রিয় মুখদের কাছে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির এক সময়ের আড্ডাস্থল মিডিয়া সেন্টারের এই বৈঠকে তিনি বলেন,আমাদের জেলাকে আমরা এগিয়ে নিব সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। পাবনাকে এগিয়ে নেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব । আধুনিক পাবনা গড়ে তুলতে সকলকে নিজ নিজ যায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন,ইছামতি নদী খননের কাজ শুরু করা হবে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে। পাবনা থেকে মানুষ ট্রেন যোগে সরাসরি ঢাকা যেতে পারবে। পাবনাতে শেখ কামাল হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাবনা মেডিকেল কলেজের কাজও অচিরেই শুরু হয়ে যাবে।অনেক সপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুত্তিযুদ্ধ করেছিলাম। এখানে রাজনীতি করেছি , বেড়ে উঠেছি, এই শহরের মাটি ও মানুষের কাছে আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদের দোয়াতে আজকে রাষ্ট্রপতি হয়েছি, কাই আমার নিজস্ব দায়িত্ব ও অনেক। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক। আপনারা আমাকে দোয়াতে ও মায়াতে রাখবেন যেন কিছু ভালো কাজ করতে পারি। প্রায় সোয়া এক ঘন্টাব্যাপি সৌহার্দপুর্ণ ও প্রাণবন্ত এই অনুষ্ঠানে তাঁর সহপাঠি ও বন্ধুসহ তিনি খোলামেলা কথাবার্তা বলেন। অতীত স্মৃতি তর্পণে মজার মজার কথার খৈ ফোটে।
এবার বিদায়ের পালা। আমার ¯েœহভাজন সাংবাদিক আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী ও এসএম আলাউদ্দিনকে বলা ছিলো কিছু ছবি তোলার জন্য। অন্তরঙ্গ মুহূতের কিছু ছবি তারা ক্যমেরা বন্দি করে। এসময় আমার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যে, আমার লেখাগুলো তিনি নিয়মিত পড়ে থাকেন সেই সাথে গণমানুষের জীবনচিত্র তুলে ধরে আরো বেশি বেশি লেখার জন্য অনুপ্রেরণা জোগান। আমিও (এবাদত আলী) তাকে বলি মহামন্য রাষ্ট্রপতি একজন ভালো কলাম লেখক, তাঁর কাছ থেকেও জাতি ভালো লেখা আশা করে। দৈনিক ইছামতির প্রধান প্রতিবেদক ছিফাত রহমান সনম তার চৌদ্দতম কাব্যগ্রন্থ ‘‘ মনভিটে’’ মহামান্য রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন। রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকও কবি ছিফাত রহমান সনমকে বলেন তার জন্য শুভ কামনা রইলো। ( লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট)
এবাদত আলী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট
তারিখ : ২১/০১/২০২৪