// নাজিম হাসান, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
স্বাধীনতার পর রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টিকরা এমপি হয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন রাজশাহী-৪ বাগমারা আসনের নবনির্বাচিত এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। এই প্রথম তাহেরপুর থেকে এবং মেয়র থেকে এক চান্সেই এমপি নির্বাচিত হয়ে গোটা জেলায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তাই তো বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শত শত সংগঠন হাজারো মানুষ ছুটছেন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে ও এক নজর দেখতে। উচ্ছসিত জনতা বলেছেন এই ফকিরনী ও বারনই নদীর ওপার থেকে একজন এমপি নির্বাচিত হলেন। জনতার মতে আবুল কালামের চমক সৃষ্টি করার আরো কারণ তিনি বয়সে একেবারে তরুন এবং একজন হেভিওয়েট প্রার্থীকে বোকা বানিয়ে নৌকা প্রতীক বাগিয়ে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে বাজিমাত করেছেন। তাই তো নারী পুরুষ আবাল বৃদ্ধবনিতা নির্বাচনের পর তাকে এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। হাসি খুশি ভরা এসব মানুষের মনে হাজারো কৌতুহল হাজারো প্রত্যাশা। তারা যেন আজ হাফ ছেড়ে বাঁচলো। তারা দীর্ঘ পনেরো বছরের দূর্নীতি দুঃসাশন থেকে মুক্তির প্রহর গুনছিল। বাগমারায় আজ নতুনের জয়জয়কার। রোববার বিজয়ের বারতা বাজার পর থেকে আবুল কালামকে মাথায় তুলে নাচানাচি শুর হয়। সোমবার আকাশে বাতাসে এই মাতম বাড়তে থাকে। সোমবার সকালে তাহেপুরে ছুটে যান আওয়ীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা হাজার হাজার নেতা কর্মী । তারা আবুল কালামকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে একই দিন বিকেলে ভবানীগঞ্জ গরুহাটায় শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের মাল্যদান। এ্সময় বাগমারা বনিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম হেলালের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, আপনারা আমার পরীক্ষা নিয়েছেন আমি উত্তীর্ন হয়েছি। আমি আপনাদের কথা রাখবো। বিগত ১৫ বছর বাগমারায় যে উন্নয়ন হয়নি। আগামী পাঁচ বছর তার চেয়ে দ্বিগুন উন্নয়ন করব। আমি তাহেরপুরকে যেভাবে সাজিয়েছি। এখন গোটা বাগমারাকে তার চেয়ে আরো উন্নত করে সাজাবো।