রাজশাহী-৫ আসনে জীবন্ত ঈগল নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ’নৌকার প্রার্থীকে তলব

// নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর ও পুঠিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের পক্ষে জীবন্ত ঈগল পাখি প্রচারণা চালাচ্ছেন তার সমর্থকরা। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নৌকা প্রার্থীর সমন্বয়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সাদাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগে তিনি বলেন, রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান তার নির্বাচনী প্রতীক ঈগল পাখি। এ প্রার্থীর এক সমর্থক জীবন্ত ঈগল পাখি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। একই আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের এক সমর্থক কবিরুল ইসলাম জীবন্ত ঈগল পাখি নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। অপরদিকে,স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগ নেতা ওবায়দুর রহমানের ঈগল প্রতীক নিয়ে ব্যঙ্গ করায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নোটিশে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন দোষী সাব্যস্ত করা হবে না তা জানাতে দারাকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় দারাকে ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌসের আদালতে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দিতে হবে। তিনি এ নির্দেশ দিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়,আবদুল ওয়াদুদ দারা নির্বাচনী বিভিন্ন সভা-সমাবেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার কর্মীদের উদ্দেশে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকিমূলক বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন। যার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীককে ব্যঙ্গ করে কাউয়া ও বাদুড় উল্লেখ করে বলেছেন, কাউয়া ও বাদুড়কে আর মাটিতে নামতে দেওয়া হবে না। যারা কাউয়া আর বাদুড়কে সমর্থন করবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি নিজেই জেলার সাধারণ সম্পাদক। কাজেই থানা কিংবা উপজেলা আওয়ামী লীগের পদে থাকা নেতাদের এক খোঁচাতেই পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারবো। দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী নেতাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিতে পারবো। এজন্য আমার কাউকে লাগবে না। ৩০ ডিসেম্বর তাদের শেষ দিন। এর মধ্যে নাকে খত দিয়ে নৌকার ছায়াতলে না এলে তাদের চিরতরের জন্য নৌকা থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের বক্তব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন আরচণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই কেন দারাকে দোষী সাব্যস্ত করে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না তা আদালতে নিজে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন,কাউকে আহত করার উদ্দেশে আমি কিছু বলিনি। তারপরও আমি ব্যাখ্যা দেবো।#