টাঙ্গাইলে নদী পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি

// কামরুল হাসান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ঃ টাঙ্গাইলে অবৈধভাবে নদী পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রুকশি,ছিলিমপুর পুর্বপাড়া এলাকায় এলেংজানী নদীর পাড় থেকে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র মাটি বিক্রি করে আসছে। এভাবে অবাধে মাটি কেটে বিক্রি করায় নদী ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে।
সারাবছর জুড়ে নদী পাড়ের মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে নেওয়ার কারণে এলজিইডির নতুন রাস্তা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে বাতাসে উড়ে প্রচুর ধুলা-বালি। কিছুস্থানে ফসলি জমির উপর দিয়ে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এসবের কারণে ওই এলাকার সাধারণ মানুষদের প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে,টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইউনিয়নের রুকশি,ছিলিমপুর পুর্বপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এলেংজানী নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। নদীর পাড় থেকে ক্রমাগত মাটি কাটায় আবাদি জমি ও বসতভিটা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। তারা বলেন, সমাজের প্রভাবশালী ও প্রশাসনের সাথে আতাত করে ওই চক্রটি এই মাটি কাটার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কেও প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। যে প্রতিবাদ করে সেই বিপদে পড়ে। তারা বিবার্তার এই প্রতিবেদকে বলেন, আপনার মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট আমরা আবেদন করছি,এসব মাটি কাটা যেন বন্ধ করা হয়।
স্থানীয় মো. মিজান মিঞা(৫৫), আবুল মিয়া(৬০),আব্দুল কদ্দুছ ও নয়নতারা নামে কয়েকজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছিলিমপুর গ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সেভেন ব্রাদাস নামে কনসিডিয়াম করে অবৈধভাবে নদীর পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছে। ট্রাক্টর দিয়ে মাটি স্থানান্তর করার ফলে বরুহা-ছিলিমপুরের এলজিইডির রাস্তাটি নতুন করলেও তা বিভিন্নস্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ট্রাক্টর চলাচলের কারণে সড়কের প¦ার্শবর্তী বাড়িতে ধুলাবালুতে ভরে যায়। খাবারে ধুলো পড়ায় শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি ওই সড়ক দিয়ে ছিলিমপুর বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা যাতায়াত করে। মাঝেমধ্যেই দ্রæতগতির ট্রাক্টরের সাথে শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। কেউ যেন দেখার নেই।
মাটি ব্যবসায়ী মুরাদের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা সবকিছু মেনেজ করেই এ মাটি ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কর্মকর্তা (ভুমি) অতনু বড়–য়া বলেন, অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালত নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।