// নাটোর প্রতিনিধি॥
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের আয় বেড়েছে ১কোটি ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫৪৮টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় বকুলের আয় ছিলো ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা যা প্রায় ৪০ গুণ বেড়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ৫৪৮টাকা। তবে সম্পদের পাশাপাশি ঋণও আছে এমপি বকুলের। মধুমতি ব্যাংক গুলশান শাখায় ১৮ লাখ ২১ হাজার ৪০টাকা ও রোকনুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে ৪০ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে এমপি বকুলের। এবারের নির্বাচনে শহিদুল ইসলাম বকুল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।তিনি ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।তিনি হলফনামায় পেশা হিসেবে মৎস্যচাষ ও কৃষি উল্লে¬খ করেছেন। কৃষি খাত থেকে বছরে আয় দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং মৎস্য খাত থেকে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। (মৎস্য চাষের দশ লাখ টাকা করমুক্ত আয়)
২০১৮ ও ২০২৩ সালের তুলনামূলক হলফনামা বিশ্লে¬ষণ করে দেখা যায়, ২০১৮ সালে বকুলের সম্পদ ছিলো ৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকার। ২০২৩ সালে এ সম্পদ প্রায় ২৪ গুণ বেড়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৬২৬ টাকা হয়েছে। নগদ টাকা ৬০ লাখ ৮৫ হাজার ৬শ টাকা। ২০১৮ সালে স্ত্রীর নামে কোন আয় না থাকলেও এবার ১০ লাখ ৭ হাজার ১৫৫টাকা আয় দেখানো হয়েছে। ২০১৮ সালে স্ত্রীর নামে শেয়ার আমানত ৩ লাখ টাকা থাকলেও এবার তা কমে ২ লাখ টাকায় নেমেছে। এছাড়া অনান্য স্থায়ী আমানত ও ২০ ভরি স্বর্ণের অর্জনমুল্য ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৬টাকা দেখানো হয়েছে। স্ত্রীর নামের ৩ লাখ টাকার সম্পদ ৩ দশমিক ৫৮ গুণ বেড়ে ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৬ টাকা দেখানো হয়েছে। এছাড়া এমপি বকুলের নামে ৮ বিঘা কৃষি জমি ও ৫ শতাংশ জমির উপর তিনরুমের আধাপাকা বাড়ি রয়েছে। কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুরে্যর ২টি হার্ড জীপ গাড়ি এবং দানসুত্রে স্বামী-স্ত্রীর পাওয়া ১টি মাইক্রেবাস।