// কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর সোমবার সকালে শহরের শহীদস্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল পৌরসভার উদ্যোগে দিনব্যাপি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সূর্যদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,বেলুন উড়ানো, কবুতর উন্মুক্ত করণসহ আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পরে শহীদস্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুূনরায় শহীদস্মৃতি পৌর উদ্যান গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ ছানোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান, পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টুসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দিনটি উপলক্ষে শহীদস্মৃতি পৌর উদ্যানে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে টাঙ্গাইলের সূর্য সন্তানেরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে টাঙ্গাইল মুক্ত করেন। এইদিন রাতে সদর উপজেলার পশ্চিমে অবস্থিত পোড়াবাড়ি দিয়ে কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক ভোলা(বর্তমানে কৃষিমন্ত্রী) সহযোদ্ধাদের নিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। খুব ভোরে পুর্ব দিক দিয়ে শহরে প্রবেশ করেন কমান্ডার বায়েজিত আলম ও খন্দকার আনোয়ার হোসেন, দক্ষিন দিক দিয়ে আসেন ব্রিগেডিয়ার ফজলুর রহমান। আর উত্তর দিক থেকে ময়মনসিংহ সড়ক দিয়ে বীরদর্পে সাজোয়া বহর নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন কাদিরিয়া বাহিনীর কমান্ডার বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। এসময় সার্কিট হাউজে থাকা ৫’হাজার পাক বাহিনীর পরাজিত সদস্যরা কাদের সিদ্দিকীর কাছে আতœসর্মপণ করেন। মুক্ত হয় টাঙ্গাইল। পরে সাধারণ জনগন রাস্তায় নেমে আসে। জয়বাংলা শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে টাঙ্গাইল শহর।