// বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা, দোকান ভাংচুর ও গর্ভবতীসহ দু’জন নারীকে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার প্রতিকারসহ নিরাপত্তা বিধান এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগীরা। শনিবার উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিত গৃহবধু তানিয়া বেগম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সমাজসেবক আব্দুল কুদ্দুস ও শাহ আলম, ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন, তানিয়ার জা জেরিন বেগম ও মাজেদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া বেগম বলেন, তার শ^শুর নুরু মুন্সী দীর্ঘদিন যাবৎ কালিকাপুর মৌজার ২৩৭০ হালদাগের ৪৪ শতাংশ জমির মালিক হিসাবে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ তার শ^শুর নুরু মুন্সী ও স্বামী শরীফুল ইসলাম কারাগারে থাকায় পাশর্^বর্তী মহিষভাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আসাদুজ্জামান ওই জমির ১০ শতাংশ নিজের বলে দাবি করে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় মামলা করলে আদালত সেখানে ১৪৪ ধারা জারী করে। কিন্তু গত বুধবার আসাদুজ্জামান প্রায় শতাধিক লোক নিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুনরায় সে জমিতে ঘর তুলতে যান। এ সময় বাধা দিলে তানিয়া বেগম ও তার গর্ভবতী জা’ রিনা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে তারা। রিনা বেগম বর্তমানে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় তারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে, অভিযুক্তরা অদ্যাবধি নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তারা অবিলম্বে দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।
তবে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান জানান, আমি এখানে ১০ শতাংশ জমি কিনেছি। আমার সকল কাগজপত্র রয়েছে। আমার লোকজন কাউকে মারপিট করেনি। বরং তারাই আমার লোকদের মেরেছে।