// জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এর মধ্যে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বাজার মনিটরিং করে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে ৭ দিনের জেল দেয় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁ জেলা প্রশাসক সকাল থেকেই বাজার মনিটরিং করছে। দাম বেশি নেওয়ায় দুই জনকে জেল দেওয়া হয়েছে।
এক রাতের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দামও ২০০ ছুঁয়েছে। পেঁয়াজের বাজারের এমন অস্থিতিশীলতায় দিশাহারা অবস্থা ক্রেতাদের।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলার গড়েয়া, কলিবাড়ি, খোচাবাড়ি বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে সবই ভারতীয় পেঁয়াজ। কোথাও দেশি পেঁয়াজের দেখা মেলেনি। আবার কোথাও পেঁয়াজ শূন্য বাজার
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছে না। ঠাকুরগাঁও জেলার সব থেকে বড় গোবিন্দ নগর আড়তে ভোরে যে দাম ছিল তার থেকে দুপুরে মণপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকা বেড়ে গেছে। বিকেল নাগাদ বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।
রাতারাতি পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বাজারে এসে অনেকে পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে এই দামেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কালিবাড়ি বাজারে কথা হয় ক্রেতা মানিকের সঙ্গে তিনি বলেন, দুইদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১০০ টাকা করে। আজকে এসে দেখি সেটা ডাবল হয়ে গেছে। রাতের মধ্যেই বেড়ে গেলো ১২০ টাকা। এটা কেমন দেশ!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, এখন ভারতয়ে পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। বাজারে পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। যার ফলে এভাবে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।