// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
উৎসবমূখর পরিবেশে ঈশ্বরদীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সূর্য্য (ছট) পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রবিবার (১৯ অক্টোবর) ঈশ্বরদী উপজেলা চত্বরের পুকুরে সূর্য্য দেবের উদ্দেশ্যে পূজাদানের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের সহস্রাধিক নারী ও পুরুষের সমাগম ঘটে। সূর্যাস্তের পূর্বমূহুর্তে বিশেষ করে বেশীরভাগ অবাঙ্গালি হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা উপবাস করে কোমড় পর্যন্ত পানিতে পুকুরে নেমে সূর্য্যদেবের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে পূজা দেন। সূর্য্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত চলে এই পূজা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সূর্যোদয়ের পূর্বমূহুর্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত আবারও কোমড় পর্যন্ত পানিতে পুকুরে নেমে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত সূর্য্যদেবের অর্চনা করবেন। এতদঞ্চলের মধ্যে ঈশ্বরদীতে দীর্ঘদিন ধরে জাঁক-জমকপূর্ণভাবে সূর্য্য পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
সূর্য্য পূজা উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ পূজায় কোনো মূর্তি উপাসনার স্থান নেই। ডুবিত এবং উদিত সূর্য্যকে পূজা করা হয়। পূজার দু’দিন আগে লাউ ভাত এবং একদিন আগে খির ভাত খাওয়ার সাথে ৩৬ ঘণ্টার এক কঠোর ব্রত পালন করেন নারীরা। পূজায় সম্পূর্ণ সাত্বিক নৈবেদ্যের সাথে কুলো, ডালা বা পানিতে রেখে উৎসর্গ করা হয়। বিভিন্ন ফল মূল, মিঠাই ইত্যাদির সঙ্গে পরম্পরাগত বিহারী লোকখাদ্য “ঠেকুয়া” প্রস্তুত করে নৈবেদ্য রূপে প্রদান করা হয়।
এসময় নুন-মশলা বর্জিত সম্পূর্ণ নিরামিষ খাদ্য গ্রহণ করা হয়। পূজা শেষে আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশীদের প্রসাদ বিতরণ এ পূজার অন্যতম নিয়ম। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই পূজা বর্তমানে সার্বজনীন রূপ পেয়েছে। বিভিন্ন ভাষাভাষী ও সম্প্রদায়ের মানুষ এই পূজার মাহাত্ম উপলব্ধি করে পূজায় সামিল হতে শুরু করেছেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবির কুমার দাশ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডুসহ স্থানীয় নের্তৃস্থনীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।