// সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ
বগুড়ায় প্রতিবন্ধী নারীদের জন্যে আইনি সচেতনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিসেবাসহ ন্যায়বিচারে প্রবেশগম্যতা সম্পর্কিত এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিরার দুপুরে শহরের রেড চিলিস হোটেলের সভাকক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে উইমেন উইথ ডিজএ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডাব্লিউডিডিএফ)।
উইমেনস ফান্ড এশিয়ার আর্থিক সহযোগিতায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ মোহাম্মদ কাউসার রহমান। ডাব্লিউডিডিএফ এর নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টির সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সামির হোসেন মিশু। সংস্থার বগুড়ার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল ফয়সালের সঞ্চালনায় সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ব্লাস্ট বগুড়ার ইউনিট কো-অর্ডিনেটর এ্যাড. আশরাফুন নাহার স্বপ্না, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র বগুড়ার কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তার, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, রুপালী ব্যাংক মহিলা শাখার ম্যানেজার আশা বিশ্বাস, গণমাধ্যকর্মী ইলিয়াস হোসেন ও সঞ্জু রায় প্রমুখ। সেমিনারে বক্তারা বলেন, তৃণমূলে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই এখনো নিজেদের অধিকার ও আইন সম্পর্কে অজ্ঞ যা তাদের জানাতে পারলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে তবে সরকারের পাশাপাশি সে দায়িত্ব নিতে হবে সচেতন মহলের সকলকে। বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীদের সহজ প্রবেশগোম্যতা নিশ্চিত করে ভবন নির্মাণ করতে হবে যেন তারা অবাধ চলাচল করতে পারে। যদিও বেসরকারি পর্যায়ে অধিকাংশক্ষেত্রে সঠিন বিধান মেনে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না যা অত্যন্ত দু:খজনক। বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার কারণে আজ প্রতিবন্ধী নারীরা ন্যায় বিচার পেতে অনীহা দেখায় যা সমাধানে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে আন্তরিকতার প্রয়োজন। এছাড়াও দপ্তরগুলোতে সমন্বয় ও আন্তরিকতার অভাবেও অনেকক্ষেত্রে সেবাপ্রাপ্তিতে ভোগান্তির শিকার হয় এই জনগোষ্ঠীর মানুষ। তবে সরকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্যে যে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে সেমিনারে তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয় তবে কার্যক্রমগুলোর আরও ব্যাপক প্রচারণার অনুরোধ জানান অংশগ্রহণকারীরা। সেমিনারের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন ডাব্লিউডিডিএফ এর কর্মসূচি সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবীর এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সংস্থার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া।