// সলিম ব্যক্তি স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার পরস্পরের জন্য নির্ধারিত শিষ্টাচার তথা অধিকারসমূহকে স্বীকৃতি প্রদান করবে। কেননা, আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর নারীদের তেমনই ন্যায়সংগত অধিকার আছে, যেমন আছে তাদের ওপর পুরুষদের; আর নারীদের ওপর পুরুষদের মর্যাদা আছে।’ (সুরা বাকারা: ২২৮)
সুতরাং আল-কোরআনের এ আয়াতটি স্বামী ও স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য একের ওপর অন্যের অধিকার নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং বিশেষ কিছু কারণে স্বামীকে তার স্ত্রীর ওপর বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে বলেন, ‘জেনে রাখবে, নিশ্চয়ই তোমাদের নারীদের ওপর তোমাদের অধিকার রয়েছে, আর তোমাদের ওপরও তোমাদের নারীদের অধিকার রয়েছে।’ (সুনান তিরমিজি: ১১৬৩)
তবে এসব অধিকারের মধ্য থেকে কিছু অধিকার আছে এমন, যা স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের মাঝে যৌথভাবে প্রযোজ্য এবং কিছু অধিকার আছে এমন, যা তাদের প্রত্যেকের জন্য পৃথক পৃথকভাবে নির্দিষ্ট। সুতরাং যেসব অধিকার তাদের উভয়ের জন্য যৌথভাবে প্রযোজ্য, সেগুলো হলো:
আমানত তথা বিশ্বস্ততা: স্বামী ও স্ত্রী প্রত্যেকের ওপর ওয়াজিব হলো একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত হওয়া। সুতরাং কম হোক বা বেশি হোক, কোনো অবস্থাতেই তারা একে অন্যের খিয়ানত করবে না। কারণ, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। অতএব, এ কারণে তাদের বিশেষ ও সাধারণ জীবনের প্রতিটি বিষয় ও ক্ষেত্রে পরস্পরের মাঝে বিশ্বস্ততা, কল্যাণ কামনা, সততা ও নিষ্ঠার মতো বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালন করা জরুরি।
ভালোবাসা ও সম্প্রীতি: তারা দীর্ঘ জীবনে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণে নির্ভেজাল ভালোবাসা ও অবারিত সহমর্মিতা প্রদর্শন করবে। কেননা, আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তার নিদের্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জোড়া, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং সৃজন করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা।’ (সুরা আর-রুম: ২১)
তাছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অনুকম্পা প্রদর্শন করবে না, তার প্রতিও অনুকম্পা প্রদর্শন করা হবে না।’ (সহিহ বুখারি: ৬০১৩)