// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা:
ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেলের সাথে ইঞ্জিনচালিত করিমনের সংঘর্ষে স্কুল ছাত্র মিতুল হোসেনের (১৫) পর এবার প্রাণ হারাল সিয়াম সরদার (১৫)। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সিয়াম হোসেন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের শিহাব সরদারের ছেলে। সে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেন্ড রফিকুল ইসলাম সিয়াম সরদারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসংগত: সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিন বন্ধু মোটর সাইকেলে চেপে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুরে মোটরসাইকেল ও করিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহীর মধ্যে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র মিতুল হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপর দুই আরোহী সিয়াম সরদার (১৫) ও বিশাল হোসেনকে (১৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিয়াম সরদার সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মারা যান। চিকিৎসাধীন বিশাল হোসেনের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিসিউতে রাখা হয়েছে।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার জানান, সিয়াম সরদারের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রয়েছে। তার মরদেহ দ্রুত নিজ এলাকায় আনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি।