আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সরকারি পে-অর্ডার ছাড়াই জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে দলিল রেজিষ্ট্রীর জন্য দাখিল করে ধরা খেলেন দলিল লেখক মোর্শারফ হোসেন। তার লাইসেন্স স্থায়ী বাতিল করার জন্য কেন সুপারিশ করা হবেনা মর্ম্মে শো‘কজ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর আদমদীঘির সাব-রেজিষ্ট্রার (খন্ডকালীন) এসএম কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে ওই দলিল লেখককে নোটিশ প্রদান করা হয়। দলিল লেখক মোর্শারফ হোসেন আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনাটি নিয়ে সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস পাড়ায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
আদমদীঘির সাব-রেজিষ্টার (খন্ডকালীন) এসএম কামরুল ইসলাম কর্তৃক দলিল লেখক মোর্শারফ হোসেনের নিকট প্রেরিত উল্লেখিত পত্রে জানাযায়, গত ২৫ অক্টোবর আদমদীঘি সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মোর্শারফ হোসেন (সনদনং-১৪৪) সরকারি পে-অর্ডার ছাড়াই গ্রাহকের সাত খানা দলিল রেজিষ্ট্রী করার জন্য সাব-রেজিষ্ট্রারের নিকট দাকিল করেন। যা ৪৮(৫) ধারামতে আইন বহির্ভুত জালিয়াতি ও প্রতারণার সামিল। ফলে কেন তার (দলিল লেখক মোর্শারফ হোসেন)-এর লাইসেন্স স্থায়ী ভাবে বাতিল করার সুপারিশ করা হবেনা তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পত্র প্রাপ্তির সাথে সাথে দাখিল করার জন্য বলা হয়। সেই সাথে উক্ত জালিয়াতি ও প্রতারণার দায়ে দলিল লেখার কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আদমদীঘি সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দলিল লেখক মোর্শারফ হোসেন প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে পে-অর্ডার ছাড়াই ৭টি দলিল যার দলিলনং-৪৮২১. ৪৮৩৯. ৪৮৪০. ৪৮৪১. ৪৮৪২, ৪৮৪৩ এবং ৪৮৪৪/২৩ রেজিষ্ট্রী করান। বিষয়টি ধরা পড়ার পর ওইসব দলিল বাতিল করেন সাব-রেজিষ্ট্রার।
অভিযুক্ত দলিল লেখক মোর্শারফ হোসেন সরকারি পে-অর্ডার ছাড়া দলিল রেজিষ্ট্রী করার জন্য দাখিল করার কথা স্বীকার করে বলেন. পরের দিন পে-অর্ডার জমা দেয়া হয়েছে। তবে কো‘কজ নোটিশ তিনি গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) পর্যন্ত পাননি। পেলে জবাব দেয়া হবে বলে জানান।