রাজশাহীর তাহেরপুরে সার ও কিটনাশক বিক্রেতারাই কৃষি বিশেষজ্ঞ

নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীরবাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার হাট-বাজারের সার ও কিটনাশক বিক্রেতারা কৃষি বিশেষজ্ঞ সেজে দেদারসে কৃষকদের পরার্মশ প্রদান করছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। সার ও কিটিনাশক বিক্রির স্বার্থে সার ও কিটনাশক বিক্রেতারা কৃসকদের পরার্মশ প্রদান করে তারা অচিরে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বুনিয়েগেছে। আর সার ও কিটনাশক বিক্রেতাদের পরার্মশে সবজিকে বিশাক্ত করে তুলছে কৃষকেরা। এ উৎপাদিত ফসল বা সবজি খাওযার পর মানব দেহে কিটনাশক জাতিয় বিষক্রিয়া জড়িয়ে পড়ছে। যা মানব দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। এমনকি এ কিটনাশক বিষের কারনে অনেকে মরন ব্যাধীতে আক্রান্ত হচ্ছে। এলাকায় অনুসন্ধানে জানা যায়, সার ও কিটনাশক বিক্রেতারা বিভিন্ন নিন্মমানের ও যে কোন কিটনাশক কোম্পানীর কিটনাশক কম মূল্যে কিনে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করার জন্য নিজেরাই কৃষি বিশেষজ্ঞ সেজে কৃষকদের পরার্মশ প্রদান করেন। যা গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল ও অশিক্ষিত সাধারন কৃষকদের সহজেই কিটনাশক বিষয়ে পরার্মশ প্রদান করে তাদের বাগে এনে কিটনাশক বিক্রি করছে সার ও কিটনাশক বিক্রেতারা। এছাড়াও বিভিন্ন কিটনাশক কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিদেরও কিটনাশক বিষয়ে পরার্মশ দিতে দেখা যায়। এদিকে, সার ও কিটনাশক বিক্রেতারা কৃষি বিষয়ে বা কিটনাশক বিষয়ে জ্ঞান না থাকলেও নিজের স্বার্থ হসিলের জন্য কৃষকদের পরার্মশ প্রদান করে। সার ও কিটনাশক বিক্রেতার কাছ থেকে পরার্মশ নিয়ে কৃষকেরা মাত্রারিক্ত কিটনাশক ব্যাবহার করছে ক্ষেতের ফসলে ও সব্জিতে। উপজেলার চাইপাড়া গ্রামের কৃষক মোতালেব বলেন, আমরা কিটনাশক এর বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। যে ব্যাবসায়ীর কাছে কিনি সে যে ভাবে জমিতে দিতে বলে সেই ভাবে জমির ফসলে দিয়ে থাকি। গোয়ালকান্দি গ্রামের কৃষক ময়দুল একই কথা বলেন। তাহেরপুরের বাজার এলাকার কয়েকজন সার ও কিটনাশক বিক্রেতা বলেন দীর্ঘ দিন ধরে সার ও কিটনাশকের ব্যাবসা করে অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। কিটনাশকের লেবেল দেখে কৃষকদের পরামৃশ দিয়ে থাকি। তবে উপজেলা কৃষি অফিস বলছেন, মাত্রারিক্ত কিটনাশক ব্যাবহারে ফসলের ক্ষতিহয়। এবং গ্রামের সহজ সরল কৃষকেরা সার ও কিটনাশক বিক্রেতার কাছ থেকে কিটনাশক কিনে তাদের কথা মত জমিতে বা সবজিতে প্রয়োগ করে। তবে সার ও কিটনাশক বিক্রেতাদের সচেতন করতে ট্রেনিং করানো প্রয়োজন। এছাড়া কোন কিটনাশক কোম্পানী কৃষকদের পরার্মশ মুলক সভা বা সেমিনার করলে কৃষি অফিসকে জানিয়ে করতে হবে।