রাজনগরে ফাহমিদা মেডিসিন কর্ণার এর পরিচালক এর উপর হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা

// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ রাজনগর মুন্সিবাজারে ফাহমিদা মেডিসিন কর্ণার এর পরিচালক শাহদাত হোসেন লিলু এর উপর হামলা, ফার্মেসী ভাংচুর ও লুটপাট করার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুন্সিবাজার কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির আয়োজনে স্থানীয় মুন্সিবাজার ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে গত ১৯ অক্টোবর বাদ মাগরিব এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুন্সিবাজার কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি ও বাসন্তি ফার্মেসীর পরিচালক কেতকী রঞ্জন ভট্রাচার্য্য এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ভোটার ও মুন্সিবাজার কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সমিতির সদস্য হামিদুর রহমান সাবুল এর সঞ্চালনায় আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- বুলবুল ফার্মেসীর মোঃ খালেদ হাসান, সেবা ফার্মেসীর সুলেমান মিয়া, মদিনা ফার্মেসীর মোঃ জাকারিয়া, সূক্বতি ফার্মেসীর ডাঃ ফজল মালাকার, সৌরভ ফার্মেসীর সঞ্চয় ধর, জিকে ড্রাগ হাউসের পার্থ ধর, মৌলভী ফার্মেসীর মোর্শেদ আলমসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীবৃন্দ। জানা গেছে- গত ১৭ অক্টোবর রাতে ঔষদ বাবদ পাওনা টাকা চাইলে সোহেল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ফাহমিদা মেডিসিন কর্ণার এর পরিচালক শাহদাত হোসেন লিলু-কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারপিট করিতে উদ্যেত হইলে তিনি তার ফার্মেসীর ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, বিভিন্ন ঔষদ ও মালামালা ভাংচুর করেন। সোহেল মিয়াগংরা তাদের হাতে থাকা রামদা, জিআই পাইপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করতে থাকেন। এ হামলায় গুরুতর জখম হন- ফাহমিদা মেডিসিন কর্ণার এর পরিচালক শাহদাত হোসেন লিলু (৩৭), রাসেল আহমদ (৩৮), সুজেল আহমদ(৩৩), রাহেল আহমদ(২৮)। তাদের হাল্লা চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুমেন আহমদ বাদী হয়ে রাজনগর উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের জলাল মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়া (৩৭),আলা উদ্দিন এর পুত্র লায়েক মিয়া (৩৮), শেখ মিয়ার পুত্র রাহেল আহমদ (২২), জলাল মিয়ার পুত্র মিশাল আহমদ (২১), মনির মিয়ার পুত্র সাব্বির মিয়া (১৯), আলা উদ্দিন এর পুত্র নয়ন মিয়া (১৯)-কে আসামী করে রাজনগর থানায় মামলা ( নং- ৯/১৫৭ ( রাজনগর) দায়ের করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।