// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের হোসেনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জরিনা বেগম এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও ভূমি দাতা আব্দুল আহাদ এর বিরুদ্ধে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র করার প্রতিবাদে সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিঠির সদস্যবৃন্দ, অভিবাবকবৃন্দ, শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দদের সমন্ময়ে বিদ্যালয়ে এক জরুরী সভায় উক্ত ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও জমি দাতা আব্দুল আহাদ এর বিরুদ্ধে সর্ব সম্মত্তিক্রমে অনাস্থা প্রস্থাব গ্রহণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান, ম্যানেজিং কমিঠির সাবেক সভাপতি সুলেমান মিয়া, সদস্য মশাহিদ মিয়া, মোঃ ছমরু মিয়া, মন্টু মিয়া (আয়াছ), সুন্দর মিয়া, মুহিত মিয়া, জিলাদ মিয়া, মানিক মিয়া, আজিম মিয়া, জনি বেগম, শিপা বেগম, রুপজান বেগম, রকত মিয়া, সাহেল মিয়া, আছিয়া বেগম, খেলা বেগম, ইয়াছমিন বেগম, মদিনা বেগম, শাহিদা বেগম, মুমিনা বেগমসহ বিভিন্ন লোকজন। সর্বশেষ হয়রানী ও মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও প্রতিকার চেয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের একাধিক ম্যানেজিং কমিঠির সদস্য, অভিবাবক, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী জানান- ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জরিনা বেগম একজন সহজ-সরল মহিলা। দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ে সু-নামের সহিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ সাজানো ও ষড়যন্ত্র। এখানে আর কোন লোকের কোন অভিযোগ নাই। আব্দুল আহাদ বিদ্যালয়ের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সকলেই নারী শিক্ষক। তিনি নারী শিক্ষকের বিরুধীতাকারী। এ ব্যপারে জানতে চাইলে উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও জমি দাতা আব্দুল আহাদ বলেন- আমাকে মিটিংয়ের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাই অংশ গ্রহন করিনি।