নাটোরে গৃহবধূ সীমা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

// নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধূ সিমা খাতুন (২৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী মো. রতন আলীকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা বাহাদুরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।গ্রেফতার আসামি মো. রতন আলী (২৮) গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা বাহাদুরপাড়া এলাকার মো. ইউসুব প্রামানিকের ছেলে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, ১২ বছর আগে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার মো. ইউসুফ প্রামানিকের ছেলে মো. রতন আলীর (২৮) সঙ্গে পারিবারিকভাবে সিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন সিমা খাতুনকে শারীরিক নির্যাতন করতো। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিস হয়েছিল। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন সিমা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেই থাকে। পরে গত বৃহ¯পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গৃহবধূ সিমা
খাতুনকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে আসামি স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূ সিমা খাতুনকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে অন্য আসামিরা কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। চিকিৎসা শেষে সিমা খাতুনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়িতে নিয়ে যায়। এর
কয়েক ঘণ্টা পরে আবারও গৃহবধূ সিমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার শরীরে বিষের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই রুবেল আহমেদ বাদী হয়ে গৃহবধূর স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।