// ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স কম থাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর পেনশনের প্রাপ্য চিকিৎসা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্ত্রী মাজেদা বেগম। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাকে। এদিকে এনআইডি কার্ডে মায়ের চেয়ে ছেলের বয়স ৮ বছর বেশি হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাঙ্গুড়ার পাটুলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত. মছলেমুদ্দীন প্রামাণিক রেলওয়েতে চাকুরি করতেন। স্ত্রী মোছা: মাজেদা বেগম তার ছেলে মো: মাজেদ আলীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। গত ২০ বছর আগে তিনি মারা যান। পরে স্বামীর পেনশনের টাকা তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন স্ত্রী মাজেদা বেগম। দেখা যায় তার এনআইডি কার্ডে বয়স কম। মা মাজেদার চেয়ে ছেলে মাজেদ আলীর বয়স ৮ বছর বেশি। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছেলের জন্ম তারিখ ১০ আগস্ট ১৯৬৯ সাল লেখা আর মায়ের জন্ম ১৮ অক্টোবর ১৯৭৭ সাল লেখা রয়েছে। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর পেনশনের প্রাপ্য চিকিৎসা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্ত্রী মাজেদা বেগম।
মছলেমুদ্দীন প্রামাণিকের স্ত্রী মাজেদা বেগম বলেন, এখন তার বয়স ৭৪ বছর। এনআইডি কার্ড অনুযায়ী এখন তার বয়স ৪৬ বছর। কিন্তু জন্ম তারিখ ভুল থাকার কারণে স্বামীর পেনশনের টাকা থেকে এখন বঞ্চিত হচ্ছি।
ছেলে মাজেদ আলী বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বয়স মায়ের চেয়েও ৮বছর বেশি। কতৃপক্ষের এই ভুলের কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। এ নিয়ে গ্রামের অনেকেই হাসাহাসি করে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: আজিজুর রহমানকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করার জন্য বলা হয়েছে।