// নাজিম হাসান, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সাজুড়িয়ায় আওয়ামীলীগ জামাত-বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অবৈধ পুকুর খনন ও রাস্তা নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। মাটি বহনকারী অবৈধ টাক্টরের বেপরোয়া চলাকালে নষ্ট হয়েছে গ্রামীন এই রাস্তা। গ্রামের এ পাকা ও কাচা রাস্তা যেন মাটি বহণকারী ট্রাক্টর গাড়ীর মাটি পরে মাটির স্তর পরে গেছে এবং তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। যেনো দেখার কেউ নেই এখানে। এ ব্যপারে প্রশাসনকে জানানোর পরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগও রয়েছে। সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ সাজুুড়িয়া গ্রামের কৃষক আমানুল্লাহ জানান, সাজুরিয়া গ্রামের আনোয়ার মার্ষ্টা,প্রভাষক রুহুল আমিন, ২নং ওয়ার্ডের বকুল মেম্বার,রাজু,জামিল সুমন্,মকছেদ আলী,রেজাউল হকসহ আরো অনেকে আমাদের জমি জবর দখল করে আজ থেকে প্রায় ৭-৮ দিন আগে জোরপূর্বক পুকুর খনন করতে গেলে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করলে উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে এসে পুকুর খনন বন্ধ করে দেন এবং বকুল মেম্বারকে বলে দেন অতি তারাতারি তিনটি ভেকু জমি থেকে তুলে নেয়ার জন্য। এরই পরিপেক্ষিতে গত সোমবার ভেকু গুলো তুলে নেয়ার সময় মির্জাপুর ও সাঁজুড়িয়ার রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে বলে এলাকার মানুষজন অভিযোগ করেন। অভিযক্ত বকুল মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভেকু গুলো তুলে নেয়া হয়েছে। তবে আমরা অন্যায় করছিনা,আমরা চুরি করছি না, অন্যেরা যা করছে তা আমারা করছি। পুকুর খনন অন্যেরাও করছে আমরা করলে ক্ষতি কিসের ভাই। এবিষয়ে গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম প্রামাণিক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন অন্যায় কাজের সাথে জড়িত হইনা, আমি এ কাজের সাথে জড়িত নই।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমরা অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করে দিয়েছি এবং বকুল মেম্বারকে ভেকু শরিয়ে নেয়ার জন্য আদেশ করেছি এবং রাস্তার যে ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও এই কর্মকর্তা জানান। উল্লেখ্য,গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার বকুল ইউপি নির্বাচনে নির্বচিত হয়ে তার নিজ এলাকার যোষের বিলেতে প্রায় এক ডজন পুকুর খননের সহয়োগিতা ও তার সহয়োগিদের দ্বারা নিজেই বিশাল আকারের তিনটি পুকুর খনন করেছে।#