// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম )আসনের পাঁচ বারের সংসদ সদস্য, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ , বঙ্গবন্ধুর সহচর, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস্#৩৯;র(৮২) চতুর্থ জানাজা শেষে বাবা মার কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৩১ আগস্ট) বাদ যোহর গুরুদাসপুর উপজেলার বিলশা ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে বিলশা কবরস্থানে বাবা মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। জানাজায় অংশগ্রহন করেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু,আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল, নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঁঞা, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে জানাজার মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
এর আগে বেলা ১১টায় বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় ও দুপুর ১২টায় গুরুদাসপুর পাইলট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বুধবার ঢাকা থেকে আব্দুল কুদ্দুসের মরদেহ সন্ধ্যায় নেওয়া হয় নাটোরের গুরুদাসপুরে তার নিজ বাড়িতে। এসময় হাজার হাজারনেতাকর্মী তার মরদেহ দেখার জন্য উপস্থিত হন।
উপজেলা আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাজেম আলী জানান, শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসকে গত শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়া হয়। পরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিউতে) নেয়া হয়। বুধবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৭টা ২২ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছর পরিবারসহ দ্বিতীয়বারের মতো পবিত্র হজ্বব্রত পালন করে সম্প্রতি দেশে ফেরেন তিনি। আগস্ট মাসজুড়ে প্রতিদিনই একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শারীরিকভাবে ক্লান্ত ছিলেন তিনি। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি নিয়মিত থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
উল্লেখ্য-৭৭ বছর বয়সী আব্দুল কুদ্দুস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে ৭ বার মনোনয়ন পেয়ে ৫ বার সংসদ সদস্য (পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ) নির্বাচিত হন। সপ্তম সংসদে তিনি মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহী কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন এবং বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিও ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী আব্দুল কুদ্দুস মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভারতে ট্রেনিং নিয়ে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।