// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ১৬টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে নাটোর পুলিশ লাইনসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারা হলেন বগুড়া জেলার গাবতলী থানার পুরাদহ এলাতার বাদশা সরকারের ছেলে মো. দুলাল মিয়া (৩৯), টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর থানার পাখাইলকান্দি এলাকার মৃত মোজাফফর আলীর ছেলে মো. আইয়ুব আলী (৪৫), পাবনা জেলার আমিনপুর থানার সৈয়দপুর এলাকার হিরু খানের ছেলে মো. শামীম খান (২০), পাবনা জেলার আমিনপুর থানার কালিনগর এলাকার মৃত এরশাদ আলীর ছেলে মো. নাছির উদ্দিন (২৬), রাজশাহী জেলার এয়ারপোর্ট বাইয়া এলাকার মো. শামীম বাবুর ছেলে মো. আল-আমিন ইসলাম (২৭) পাবনা জেলার বেড়া থাসার পূর্ব শ্রীকন্ঠদিয়া এলাকার মো. সোলেমান শেখের ছেলে মো. খবির শেখ (২২), সিরাজগঞ্জ জেলারশাহজাদপুর থানার বাতিয়া এলাকার আব্দুল জলিল মন্ডলের ছেলে মো. বাচ্চু মিয়া (৫৩) এবং পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার চুলকাটা এলাকার মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে মো. জিয়াম হোসেন জিম (২০)।
পুলিশ সুপার জানান, নাটোরের সিংড়া উপজেলার সিংড়াপাড়া গ্রামের জনৈক মো. ওসমান গণির একটি লাল ও কালো রঙয়ের ডিসকভার মোটরসাইকেল চুরি হয়। পরে মোটরসাইকেলের মালিক বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে অজ্ঞাতনামা চোরের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় এজাহার দাখিল করেন। পরে পুলিশের একটি চৌকষ দল চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করেন।
পরবর্তীতে পুলিশের চৌকষ দল এবং এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের একটি চৌকষ দল অভিযান পরিচালনা করেন। পরে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বাতিয়া গ্রাম থেকে মামলার চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং তাদের তথ্য অনুয়ায়ী সিরাজগঞ্জ, পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরও ১৫ টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এসময় আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরও জানান, উদ্ধার মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকানা যাচাই করে দেওয়া হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নাটোরের পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আখিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এটিএম মাইনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শরিফুল ইসলাম