জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

// আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় এক স্ট্যান্ড ব্যবহার করে একই রশিতে নিয়ম বহিভুত ভাবে জাতীয় ও কালো পতাকা টাঙ্গানোর অবমাননার অভিযোগ উঠেছে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানার বিরুদ্ধে।্ গত মঙ্গলবার ( ১৫ আগষ্ট) সকালে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটে। নাহিদ সুলতানা উপজেলা আওয়ামীলীগের একজন সদস্য বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তাকে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। 

জানাযায়, গত মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তার পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলনের সময় চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা একই রশিতে দুটি পতাকা বাঁধার জন্য বলেন । সেই মোতাবেক তার পরিষদের লোকজন একই রশির সাথে ওপরে কালো পতাকা এবং নিচে জাতীয় পতাকা বেধে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে একটি মাত্র পতাকার স্ট্যান্ড ব্যবহার করা হয় । পতাকা টাঙানোর বিষয়টি সঠিক হচ্ছেনা অনেক ইউপি সদস্য এমন দাবি করলেও চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা ত্রæটিপূর্ন ভাবেই পতাকা উত্তোলন করেন।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সন্ধার পরও ওই ভাবে পতাকা টাঙানো অবস্থায় দেখা যায়। নাহিদ সুলতানার এ ধরনের আচরনে খোদ সরকারি দলের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নাহিদ সুলতানা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা মার্কায় গত বছর সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ বিষয়ে নাহিদ সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পতাকা উত্তোলনের সঠিক নিয়ম আমার জানা ছিলনা। অসাবধানতা বসত: এ ধরণের ক্রটি হয়েছে। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু রেজা খান বলেন, জাতীয় ও কালো পতাকা বিকৃত ভাবে তোলা অপরাধ। এ ঘটনায় ব্যবস্থা হওয়া উচিত। 

আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাতীয় পতাকা অবমাননা বিষয়ে জানার পর গতকাল বুধবার (১৬ আগষ্ট) সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়ে আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তার জবাব চাওয়া হয়েছে।