ইয়ানূর রহমান : প্রভাব বিস্তার ও বন্দর দখলকে কেন্দ্র করে বেনাপোলে বোমা হামলার ঘটনায় রোববার ৫১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পোর্ট থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেনাপোল পোর্ট থানা
পুলিশের এসআই আবুল হাসান এই চার্জশিট জমা দেন।
চার্যসিটভুক্তরা হল বেনাপোলের দিঘিরপাড় গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে সাবেক কাউন্সিলর রাশেদ আলী, দৌলতপুর গ্রামের শেখ আব্দুল্লাহর ছেলে মেহেদি হাসান সিমান্ত, খড়িডাঙ্গা গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে মাহাতাব উদ্দীন, রঘুনাথপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে স¤্রাট হোসেন, শরিফুল ইসলামের ছেলে জিল্লুর রহমান জুয়েল, জাহান আলীর ছেলে হাসানুজ্জামান ইল্লি, শাহীন হোসেন দুল্লি, নামাজগ্রাম বাওড়কান্দার মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাহিদ হোসেন সাইদ, রঘুনাথপুর গ্রামের আমিন বক্সের ছেলে মিকাইল হোসেন, মৃত নুর ইসলামের ছেলে আশানুর রহমান বাবু, দিঘিরপাড় গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. রাসেল, ভবেরবেড় গ্রামের মো. মোবারকের ছেলে জালাল হোসেন, দিঘিরপাড় গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে রাজু ইসলাম ওরফে মহসিন আলী রাজু, দৌলতপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম, নামাজগ্রাম বাওড়কান্দার মো. কাশেমের ছেলে শাহ আলম, ছোট আঁচড়া গ্রামের মৃত তোয়েব আলীর ছেলে সুজন আলী, খড়িডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার মৃত ইনসাফ আলীর ছেলে আফসার আলী, বেনাপোলের নাসির ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন, খড়িডাঙ্গার ইউছুফ আলীর ছেলে তাজ উদ্দীন, দিঘিরপাড় গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন, মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে হাকিম আলী, আব্দুর রহিমের ছেলে রেজাউল ইসলাম, আনছার উদ্দীন গাজীর ছেলে আমিন উদ্দীন গাজী, বড় আঁচড়ার মৃত ইয়াকুব মোল্লার ছেলে রকিব উদ্দিন মোল্লা ওরণে নকিব, মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা, মৃত আছমত আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান, দক্ষিণ বড় আঁচড়ার দুলু মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম, কাগমারি
গ্রামের আবু সাইদ গাজীর ছেলে আরমান হোসেন ওরফে আরমান ড্রাইভার, দিঘিরপাড়ের দিন মোহাম্মদের ছেলে ওসমান আলী শয়ন ওরফে শয়ন ড্রাইভার, তালশারি গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম, খড়িডাঙ্গা গ্রামের ইউসুফ মন্ডলের ছেলে আবুল কালাম, ছোট আঁচড়ার মৃত পানাউল্লাহর ছেলে আফসার
আলী, দিঘিরপাড়ের মৃত শামছুর রহমানের ছেলে রমজান আলী, মোরশেদ আলীর ছেলে
মাসুদ রানা, আব্দুর রহমানের ছেলে রায়হান হোসেন, বৃত্তি আঁচড়া গ্রামের মৃত জাহান আলীর ছেলে দলিল উদ্দিন, বারোপোতার মৃত জাহাঙ্গীর মোড়লের ছেলে আব্দুস ছাত্তার মোড়ল, মোশারফ হোসেনের ছেলে উজ্জল হোসেন, কাগমারি গ্রামের মৃত সদর আলীর ছেলে শাবুর আলী, বালুন্ডা গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে লিটন
হোসেন, নজরুল বিশ্বাসের ছেলে শিমুল হোসেন, বৃত্তি আঁচড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল বারিক, কাগজপুকুর গ্রামের মৃত মোসলেম সর্দারের ছেলে সুমন হোসেন, দিঘিরপাড় গ্রামের দাউদ কাজীর ছেলে আয়নাল কাজী, ভবেরবেড় গ্রামের ই¯্রাফিল সর্দারের ছেলে ফারুক হোসেন, দিঘিরপাড় গ্রামের মৃত
আব্দুল খালেকের ছেলে ইফতেখার উদ্দীন রনি, রাজাপুর গ্রামের ইসমাইল মোড়লের ছেলে মোশারেফ হোসেন ডালিম, দিঘিরপাড় গ্রামের মৃত মোজাহের মোল্লার ছেলে ইয়ার আলী, ভবেরবেড় গ্রামের ইসমাইল সর্দারের ছেলে আক্তার আলী, বেনাপোলের মৃত অহেদ আলী শেখের ছেলে আতিয়ার শেখ ও রামপুর কলুপাড়ার মানিক হোসেনের
ছেলে হারুন অর রশিদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৮ মার্চ সকালে আসামি রাশেদ আলীর নেতৃত্বে ৫০/৬০ বেনাপোল স্থলবন্দরের ২ নম্বর গেটের সামনে বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বেনাপোল শ্রমিক ইউনিয়ন হ্যান্ডলিংয়ের সভাপতি রাজু হোসেনের নেতৃত্বে ৪শ/৫শ শ্রমিক প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আসামিরা
বেশুমার বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে এর ঘটনায় বেনাপোল শ্রমিক ইউনিয়ন হ্যান্ডলিং এর সভাপতি রাজু হোসেন ৩৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, মামলার তদন্তকালে জানা যায়, হামলাকারীরা এর আগে বেনাপোল শ্রমিক ইউনিয়ন হ্যান্ডলিংয়ের নেতৃত্বে ছিলেন। তারা ক্ষমতা হারনোর পর ফের জবর দখলের জন্য এই বোমা হামলার চালায়। এ ঘটনার সাথে এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও আরো ১৬ জনের সম্পৃক্তা পাওয়া যায়। এছাড়া মামলার তদন্তকালে এজাহারভুক্ত এক আসামি মারা যায়। এ কারণে তাকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে এবং এজাহারভুক্ত অপর ৩৫ জন এবং তদন্তে প্রকাশিত ১৬ জন মোট ৫১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।#