// নাটোর প্রতিনিধি- নাটোরের নলডাঙ্গায় গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পের ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঈদগাহের সামীনা প্রাচীর নির্মাণের এক মাসের মধ্যে সামান্য বৃষ্টিতেই পুকুরে ভেঙ্গে পড়ায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রীয়া ব্যক্ত করেছেন এলাকাবাসী। গত শুক্রবার সামান্য বৃষ্টিতেই উপজেলার ব্রহ্মপুর হাজিপাড়া ঈদগাহের ২৯ মিটার সীমানা প্রাচীর পাশ্ববর্তী পুকুরে ধসে পড়ে।তবে এ প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি পূনরায় এ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দেবো ।
নলডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় ও সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুর হাজিপাড়া ঈদগাহে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও মাটি ভরাটের জন্য গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পে ৮ লাখ টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেয় নাটোর ও নওগাঁ সংরিক্ষত আসনের সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ।ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য শাহ আলম এ প্রকল্পের সভাপতি হয়ে কাজটি শেষ করেন।গত ঈদুল আযহার আগে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বরাদ্দের ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই গত শুক্রবার বিকালে ২৯ মিটার সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে।
ব্রহ্মপুর হাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান বলেন,আবেদ আলী,আফজাল হোসেন অভিযোগ করেন,আমাদের ঈদগাহের সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজের সময় সঠিকভাবে রড ও সিমেন্ট ভালো মানের ইট ব্যবহার করা হয়নি।তাই এক মাস যেতে না যেতেই সামান্য বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়েছে।আমরা পুনরায় এ সীমানা প্রাচীর নির্মানের দাবী করছি।ব্রহ্মপুর হাজীপাড়া ঈদগাহ মাঠের সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু বলেন,এ বিষয়ে আমাদের কমিটির কাউকে কিছুই জানানো হয়নি।
প্রকল্পটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম গ্রামবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ব্র্রহ্মপুর হাজিপাড়া ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর ও মাটি ভরাটের জন্য মোট ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ।সঠিকভাবে ব্রহ্মপুর হাজীপাড়া ঈদ গাহের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছিল।কিন্তু গত শুক্রবার বিকালে বৃষ্টির পানির চাপে সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে।আমি নিজ খরচে পুনরায় সঠিকভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দিব।
ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মিঠু বলেন,আমি শুনেছি ব্রহ্মপুর হাজীপাড়া ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর ধসে পুকুরের পানিতে ডুবে গেছে।আমার কাছে ওই গ্রামের লোকজন এসেছিল।পরে ইউপি সদস্য শাহ আলম ধসে পড়া সীমানা প্রাচীর পুররায় নির্মাণ করার অঙ্গিকার করেছে ।