কুলাউড়ায় স্ত্রী, মেয়ে, জামাতা‘র হাতে খুন অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তা

// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কুলাউড়ায় শেখ রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী (৬৫) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোররাতে উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মাথার পেছনে আঘাত এবং গলায় নখের আচড়ের চিহ্ন রয়েছে। স্বজনদের দাবি, নিহত রফিকুলের স্ত্রী, তার ২ কন্যা ও জামাতা মিলে অবসর ভাতার টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে কুলাউড়া থানার পুলিশ রফিকুলের স্ত্রী মিছফা আক্তার সিদ্দিকা (৫৫), কন্যা শেখ শারমিন আক্তার সিদ্দিকা (৩৫), শেখ তাজরিন আক্তার সিদ্দিকা (৩০) ও তাজরিনের স্বামী মেহেদী হাসান (৩২)-কে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়, উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী একটি বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। তাঁর ঘরে ৫ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন। পেনশন বাবদ প্রাপ্ত ৫২ লাখ টাকা নিয়ে সবসময় ঝগড়া-বিবাদ হতো। স্ত্রী মিছফা আক্তার ও তাঁর মেয়েরা পেনশনের টাকা নিজেদের কাছে নেওয়ার জন্য প্রায় সময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। স্ত্রীর আচরণের পরিবর্তনের জন্য তাকে নিয়ে স্বস্ত্রীক উমরাহ হজ¦ও পর্যন্ত করেছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাতে এ সংক্রান্ত বিবাদ সৃষ্টি হলে প্রাথমিক ভাবে তা পারিবারিক শালিসী বৈঠকে বসে সমাধান করা হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে রফিকুলের লাশ ঘরের বারান্দায় পড়ে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রফিকুলের লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস ছালেক জানান, নিহতের মাথার পেছনে আঘাত এবং গলায় নখের আচড়ের চিহ্ন পেয়েছে। রফিকুলের ভাই সিরাজুল ইসলাম ৬জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দিয়েছেন। রফিকুলের স্ত্রী, মেয়ে এক মেয়ের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।