// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ সিলেট বিভাগের ৪ জেলার মিলনস্থল মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে বিগত কয়েক বছর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কটোর নির্দেশনায় কোন ধরনের জুয়া, পুতুল নাচের নামে অশ্লিল নিত্য ও মাদকের হাট না বসলেও এবার মেলার অয়োজক কমিঠি সেই জুয়া, অশ্রিল নিত্য, ওয়ানটেনসহ নিষিদ্ধ বিভিন্ন আসর প্রকাশ্য বসিয়ে রেকর্ড ভাঙলেন। রহস্যজনক কারনে নিরব ভূমিকা পালন করে স্থানীয় প্রশাসন। জানা গেছে- গত দুই বছর করোনার কারণে মেলা না হলেও এবার সনাতন ধর্মাবলম্বীর পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে মেলাটি গত ১৩ জানুয়ারী শুক্রবার থেকে শুরু হয়। শেষ হবে ১৫ জানুয়ারী। এ প্রতিনিধিসহ একাধিক সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে ও এসব নিষিদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না, মেলা কমিঠির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছেনা। মেলা শুরুর প্রথম দিন সন্ধ্যার পর প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা মেলা পরিদর্শন করেন। এর পর স্থানীয় এক প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শুরু হয় জুয়া, ওয়ান টেন, মাদকসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ আসর। এসব আসর থেকে হাতিয়ে নেতা হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। মেলা আয়োজক কমিঠি আজ ৭.৫৮ ঘটিকায় মুঠোফোনে সত্যতা স্বীকার করে বলেন- যা কিছু করা হচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের অনুমতিতে করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে জেনে নেন। মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার এ প্রতিনিধিকে বলেন- আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। কিছু সময়ের মধ্যেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো: শফিক উদ্দিন বলেন- জেলা প্রশাসক স্যার এর নির্দেশ এখানে কোন জুয়া চলবে না। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন জুয়া বা বে আইনী যে কোন কাজের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে আছে। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর এসিল্যান্ড আমরা মাঠেই অবস্থান করছি। কোন ভাবেই জুয়া বা বে আইনী কোন কাজ করতে দেয়া হবে না। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর এসিল্যান্ডসহ একটি টিম মাঠেই অবস্থান করছে। জেলা প্রশাসন এসব বিষয়ে কঠোর। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।