নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে পদ্মা চরাঞ্চলের মানুষের গ্রামীণ সরকারী কাঁচা সড়কে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রয় করায় পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে সরকারী অনুমোদন হীন বালু ভরাট উত্তোলন করে ইটভাটা সহ বিভিন্ন স্থাপনায় বিক্রয় করার অভিযোগ।এঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। প্রশাসন সহ প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে রাতের অন্ধকারে এই বালু ভরাট উত্তোলন করা হয় বলে গুঞ্জন উঠেছে। সরেজমিনে দেখা যায়,পদ্মার চরের কয়েকটি গ্রামে যাওয়ার প্রবেশ পথ একটি মাত্র ওই সড়কটি। ওই সড়কের এবং পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে মাটি কেটে ইটভাটা বিক্রয় করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা বলে অভিযোগ তুলেছে চরাঞ্চলের মানুষ। সড়কটিতে মাটি খনন করার কারণে বর্তমান পুকুরে পরিনত হয়েছে। এতে চরাঞ্চলের স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সহ পথচারীদের চলাচলের বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যাতায়াত সহ কৃষকদের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের ব্যাঘাত ঘটছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পদ্মার চরের মানুষেরা। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত শাহাবাজ মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম ও দক্ষিন লালপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মানিক ওই সড়কে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে টাক্টরের মাধ্যমে ইটভাটায় বিক্রয় করছে বলে অভিযোগ তুলেন স্থানীয়রা। এঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,রাস্তার মাটি ইটভাটায় বিক্রয় করে দিয়েছে মাটি খেকোরা।তবে শরিফুল ইসলাম সড়কে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বিকার করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার ভূমি দেবাশীষ বসাক বলেন,ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।