বি এ এফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলার গৌরবের ৫০ বছর

মাজহার মান্নন,  সহকারী অধ্যাপক
      

এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা আজ বলবো যেটি গত ৫০ বছর তার ধারাবাহিক সাফল্যের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। একবারের জন্যও যার পথ চলায়  ছন্দ পতন ঘটেনি বা ভাটা পড়েনি। সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আজ সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।  ২০২২ সাল প্রতিষ্ঠানটির জন্য বিশেষ একটি বছর। প্রতিষ্ঠানটি এই বছর তার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। ৫০ বছরের হিসাব মিলিয়ে দেখছে। শুধু সফলতা আর সফলতা। প্রতিষ্ঠানটির সুবর্ণজয়ন্তীর বছরটিতেই দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৮/১১/২২ তারিখে প্রকাশিত এস এস সি রেজাল্টে সারা দেশে চমক সৃষ্টি করেছে। শতভাগ পাশতো আছেই। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩২৬ জনের মধ্যে ৩২১ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এইচ এস সির রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছিলো। সেখানেও দারুন সফলতা দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছিলো  ৫৭২  জন ৫৯৬ জনের মধ্যে। এ ধরণের ফলাফল প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছরই করে যাচ্ছে। আর এই মাইলফলক সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠানটি হল বি এ এফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা, ঢাকা সেনানিবাস। এটি ঢাকা সেনানিবাসের এমন এক নান্দনিক পরিবেশে অবস্থিত যার পরিবেশ যে কারও নয়ন জুড়াবে।

বি এ এফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য কলেজ এবং এটি বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি ঢাকা সেনানিবাসে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই কলেজের ৫০ বছরের গৌরবময় ইতিহাস এবং ঐতিহ্য রয়েছে এবং আমি এই কলেজের একজন শিক্ষক হতে পেরে গর্বিত এবং একই সাথে আমি আনন্দিত। বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং যোগ্য নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। আমি এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে, অনেকে একজন ব্যক্তিকে শাহীন বলে বোঝে কিন্তু আসলে তা ব্যক্তি নয়, শাহীন বলতে ঈগলকে বোঝায় এবং ঈগল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতীক। বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা ঢাকা সেনানিবাসের নির্মল প্রকৃতি ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশের মাঝখানে অবস্থিত একটি সেরা কলেজ যেখানে একগুচ্ছ দক্ষ শিক্ষক রয়েছে। এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দ্বারা পরিচালিত একটি মানসম্পন্ন ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দক্ষ গভর্নিং বডি, অভিজ্ঞ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কলেজের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তখন এর নামকরণ করা হয় এয়ার ফোর্স স্কুল। ১৯৮০ সালে, এই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে বি এ এফ শাহীন স্কুল করা হয় এবং ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত করা হয় এবং বি এ এফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা নামকরণ করা হয়। এখানে কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে শেখার সুযোগ পায় এবং কলেজটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষায় গৌরবময় ফলাফল করে থাকে। প্রতি বছর প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা গৌরবজনক ফলাফল করছে। ২০১০ সাল থেকে বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সন চালু হয়েছে এবং ২০১৫ সাল থেকে ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে এবং সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে।  কলেজ শাখার ইংরেজি ভার্সন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে যাত্রা শুরু করে এবং বোর্ড পরীক্ষায় শতভাগ পাশ সহ অভুতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।  “শিক্ষা, সংযম এবং শৃঙ্খলা” এই কলেজের মূল নীতি এবং এই প্রতিষ্ঠানটির  মূল লক্ষ্য হল ছাত্র-ছাত্রীদের  শিক্ষিত করা এবং তাদের সৎ সুশৃঙ্খল, সংযত এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা।  শুধু পাঠ্য পুস্তকের সীমারেখায় বন্দি না থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং শিক্ষার্থীদের নান্দনিক গুণাবলী বিকাশে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।  কলেজে প্রতি বছর সাংস্কৃতিক  ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে তাদের নিজস্ব প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়।এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় গৌরবময় সাফল্য বয়ে আনছে।  প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক।  শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে  সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, কমন রুম, খেলাধুলার জন্য প্রশস্ত মাঠ, ডিবেটিং ক্লাব, কুইজ ক্লাব, গার্লস গাইড, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি এবং অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রম। কলেজটি আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ এবং এর নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের সার্কুলার, বাড়ির কাজ, তথ্য-উপাত্ত,  বইয়ের তালিকা এবং অন্যান্য বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারে। স্টুডেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অধীনে ডায়নামিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল এবং রিপোর্ট কার্ড সরবরাহ করা হয় এবং এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির বিষয়ে অভিভাবকদেরও অবহিত করা হয়। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি এবং আনুষঙ্গিক খরচ DBBL এর মাধ্যমে অনলাইনে পরিশোধ করা যায়।  শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সুবিধার্থে স্ব-পরিচালিত বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এ কলেজে শিক্ষার্থীরা বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা লাভের সুযোগ পায় এবং মেয়ে ও ছেলেরা একসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৮০০০  শিক্ষার্থী এবং দুই শতাধিক শিক্ষক এবং  তাদের স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত উপস্থিতি এই প্রতিষ্ঠানটিকে সর্বদা বিশিষ্ট করে তোলে। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী বিজ্ঞান, ব্যবসা, শিক্ষা ও মানবিক বিষয়ে পড়ার সুযোগ পায় এবং তাদের সহ-শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে পাঁচটি হাউজ। কলেজের পাবলিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের শতভাগ পাসের রেকর্ড রয়েছে ধারাবাহিকভাবে  এবং একই সাথে সর্বোচ্চ জিপিএ ৫ অর্জনের রেকর্ড রয়েছে বিগত কয়েক বছর যাবত। শিক্ষকদের কাজ এবং অবদানকে সমৃদ্ধ ও ত্বরান্বিত করার জন্য প্রতি বছর শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের সনদ ও পদক প্রদান করা হয়।  কয়েক বছর আগে এই ক্যাম্পাসে একটি বহুতল কলেজ ভবন নির্মাণ করা হয় এবং ভবনটিতে সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, তথ্য প্রযুক্তি সংযোগ এবং একটি বিশাল অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি এবং একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম এবং পোষাক কোড রয়েছে এবং কিছু নিয়ম রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হয়।  শিক্ষকদের জন্যও রয়েছে নির্ধারিত পোষাক কোড।  কলেজের একটি সমৃদ্ধ ডিবেটিং ক্লাব রয়েছে এবং যেখানে ছাত্ররা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য নিয়মিত বিতর্কে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় এবং কলেজটি জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। কলেজ ভবনে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে এবং সেটার একটি বড় অংশ মুজিব কর্নার হিসেবে সজ্জিত করা হয়েছে  যেখানে মুক্তিযুদ্ধসহ বঙ্গবন্ধুর ওপর বিভিন্ন বই রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য প্রতি বছর একটি নান্দনিক এবং সমৃদ্ধ ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয় যাতে শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারে। কলেজটি প্রতি বছর বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করে যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের নব প্রতিভার  স্বাক্ষর রাখার  সুযোগ পায় এবং অল্পবয়সী শিক্ষার্থীরা তাদের বৈজ্ঞানিক মতামত প্রকাশ করার সুযোগ পায়। শিক্ষার্থীরা এই মেলায় তাদের নতুন আবিষ্কার দেখাতে পারে এবং এর ফলে একদিকে তাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়, অন্যদিকে কলেজের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও নাম জশ ছড়িয়ে পড়ে। কলেজে সমৃদ্ধ এবং অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং জীববিদ্যা ল্যাব রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যবহারিক শিক্ষা ভালোভাবে নিতে পারে। কলেজ ভবনের প্রশস্ত ও সুসজ্জিত শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ও প্রজেক্টরসহ সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কলেজ ভবনের  প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকরা ল্যাপটপ এবং প্রজেক্টর ব্যবহার করে সুন্দর সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা করেন যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপকারী এবং তারা একটি সুন্দর শেখার পরিবেশ পায়। শিক্ষকদের জন্য একটি পরিপাটি, অত্যাধুনিক, সুসজ্জিত কক্ষ রয়েছে যেখানে শিক্ষকরা বসে খুব আরামে তাদের কাজ করতে পারেন। পুরো কলেজ ক্যাম্পাস সিসিটিভি দ্বারা আচ্ছাদিত এবং এটি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কলেজটি ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বোধ করেন এবং সর্বদা বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের সুন্দর পরিবেশ থাকে। এই কলেজের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল এটিতে একটি সমৃদ্ধ লেখক ক্লাব এবং ভাষা ক্লাব রয়েছে যেখানে নিয়মিত লেখার চর্চা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের একটি দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। বিজনেস স্টাডিজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিজনেস ক্লাব রয়েছে। বিজনেস ক্লাবের নিয়মিত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় এবং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ধারণা শেয়ার করতে পারে এবং তাদের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা পেতে পারে। শিক্ষার্থীদের গাণিতিক দক্ষতা বিকাশের জন্য একটি গণিত ক্লাব রয়েছে এবং এই ক্লাবটি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গাণিতিক কৌশল অর্জন করতে সহায়তা করে। এই ইনস্টিটিউটের একটি ভাল দিক হল এতে শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার জন্য দক্ষ সাইকোলজিস্ট রয়েছে এবং একটি চমৎকার ব্যবস্থা রয়েছে এবং যার  মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে এমন সব ছাত্রছাত্রীরা তাদের সমস্যা থেকে  মুক্তি পাওয়ার সুযোগ পায়। কলেজটি শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নিয়মিত সভা করে এবং একই সাথে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। প্রতি বছর কলেজ শিক্ষা সফরের আয়োজন করে যা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সুন্দর বন্ধন উন্নত করে।  কলেজের একটি প্রাক্তন ছাত্র সমিতি রয়েছে যেটি বিভিন্ন সময়ে কলেজের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে একটি চমৎকার বন্ধন তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম করছে। কলেজটি ঢাকা শহরে অবস্থিত হলেও এর একটি বড় খেলার মাঠ রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারে এবং একই সাথে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলার সরঞ্জাম রয়েছে। প্রশস্ত কলেজ মাঠে প্রতিদিন সকালে একটি নান্দনিক মর্নিং অ্যাসেম্বলি অনুষ্ঠিত হয়। ৫০  বছর আগে এই কলেজটি সীমিত পরিসরে যাত্রা শুরু করলেও এখন এই কলেজটি একটি বড় কলেজ এবং এর সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী আজ দেশ- বিদেশের উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে অনুষ্ঠিত একটি জমকালো অনুষ্ঠান থেকে এই কলেজের একাদশ বিজ্ঞানের একজন ছাত্র স্বর্ণ পদক অর্জন করেছে উচ্চ মার্গের প্রযুক্তি তৈরি করে। এই প্রতিষ্ঠানটি সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক হিসেবে এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।

আব্দুল মান্নান, বি এ এফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা৷, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট।