জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
জমি বিরোধের জেরে ঠাকুরগাঁওয়ে সমসের আলী নামে (৮০) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ভোড় রাতে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সাদুবান্দা গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশের অসহযোগীতার কারনেই এ হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
স্থানীয় এলাকাবসি ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, গতকাল বুধবার ওই ইউনিয়নের সাদুবান্দা গ্রামের আব্দুর রহিম ও প্রতিপক্ষ সামসুলের সাথে জমি বিরোধ হয়। এসময় আব্দুর রহিমের লোকজন সামসুলের লোকজনের উপড় হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তিতে সামসুলদের কাউকে না পেয়ে ভোড় রাতে তার চাচাতোভাই সমসের আলীকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যার পর ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। হত্যার ঘটনার পর নিহত সমসের আলীর ছেলে ফজিল জানান, আগের দিন আব্দুর রহিমের লোকজন আমাদের পিটিয়ে আহত করেও তারা শান্ত হননি। পরে রাতে তাদের লোকজনই বাবাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ বিষয়ে দুওসুও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রফেসর সোহেল রানা জানান, গতকাল জমি নিয়ে বিরোধ হবে এমন ঘটনা জানতে পেরে সামসুলের ছেলে মকলেস থানায় বিষয়টি অবগত করেন। এসময় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয় লিখিত অভিযোগ প্রদানের জন্য। কিন্তু লিখিত অভিযোগ প্রদান সময়ের ব্যাপার জানালেও পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে সহযোগীতা না করায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়। পরে ভোড় রাতে আবারও দূর্বৃত্তরা এ হত্যাকান্ড ঘটায়। আজ পুলিশের অসহযোগীতার কারনেই হত্যার মত ঘটনা ঘটেছে। বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ যদি গতকালই ব্যবস্থা নিতেন তাহলে এ ঘটনা ঘটানোর সাহস পেতে না দূর্বৃত্তরা। পুলিশকে জানানোর পরেও তারা অবহেলা করেছেন কোন ব্যবস্থা নেননি। এ কারনেই পাশের ইউনিয়ন ভানোরে গত ৩ সেপ্টেম্বর শাকিল নামে একজনকে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ দুওসুও ইউনিয়নে আরেকটি হত্যা হলো। যা কাম্য নয়।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খয়রুল আনাম জানান, জমি বিরোধে বিষয়ে আমাকে কেউ ফোন করেনি। তারা ৯৯৯ এ ফোন করেছিল। সেখান থেকে জানানোর পর তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ছে। এখানে অসহযোগীতার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান তিনি।