পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি জরুরী সভা গতকাল বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর বেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপজেলা ইউনিটকমান্ড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভা সভাপতিত্ব করেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি মুক্তিযুদ্ধকালীন পাবনার পশ্চিমাঞ্চলের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বাবু। সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক আটঘরিয়া উপজেলা ইউনিট কমান্ডার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক এবং বীর মুক্তি মোহাম্মদ আলী মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির চলামান ৭ দফা দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রখেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পাবনা সদর উপজেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীবর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম পানচের, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম রেজা প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দানকালে বলেন, সাইফুল আলম বাবলুর নেতৃত্বে পাবনা প্রেসক্লাবে ১৯ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তেব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল আলম বাবলু ও তার সহযোগিরা বক্তব্যে দাবি করেণ, আমরা যারা অভিযোগ উপস্থাপন করি তারা স্বব্যাখ্যয়িত দাবিদার মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে জামুকাতে অভিযোগ দায়ের করি মাত্র। এই প্রক্রিয়াতেই আমরা এ যাবত সদর থানার ৫১ জন স্বব্যাখ্যায়িত দাবিদার মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট ও লাল মুক্তিবার্তা বাতিল করতে সক্ষম হয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, এটা পাবনা সদর থানার মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত নীরব প্রতিরোধের অংশ। তারা আরো দাবি করেছেন জামুকাতে আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি চলমান।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সভায় তাদের এ সমস্ত বক্তব্য এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভেদ নিরসনে পাবনা জেলা প্রশাসকের আহ্বানে ডাকা বৈঠক বর্জনের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী শুধু মাত্র পাবনার ৮/১০ জনের অভিযোগের ভিত্তিতেই বীরমুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট-সনদ বাতিল করেন কীভাবে। সভায় জেলা মক্তিযোদ্ধা হয়ারনি প্রতিােধ কমিটির সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আগামি ২৫ নভেম্বর থেকে পাবনা জেলার বিভিন্ন সাবেক উপজেলা ইউনিট কমান্ডের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
ছবির ক্যাপশনঃ পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সভায় বক্তব্য রাখছেন কমিটির উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ।