আগামী ২৮ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনকে ঘিরে যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বেশকিছু নির্দেশনার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ইসির নির্বাচন শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনের দিন এবং ভোটের আগে-পরে যানবাহন ও নৌ-যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
উপসচিব জানান, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৮ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব নির্বাচনে ইভিএম করা হবে। এ নির্বাচন উপলক্ষে মোটরসাইকেল, ট্রাক, পিকআপ, লঞ্চ, স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌ-যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি।
নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটগ্রহণের আগের দিন ২৭ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৮ নভেম্বর মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ ও ইঞ্চিনচালিত সব ধরনের নৌ-যান এবং স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ২৬ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৯ নভেম্বর মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
সেইসঙ্গে ২৭ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৮ নভেম্বর মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক ও পিকআপভ্যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ইসির আদেশে বলা হয়েছে, সব ধরনের ইঞ্জিনচালিত নৌ-যানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে শুধু লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। বিশেষ করে ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র নৌ-যান বা জনগণ তথা ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌ-যান নিষেধাজ্ঞা বহির্ভূত রাখতে হবে।
তবে অনুমতি সাপেক্ষে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী করা প্রার্থীগণ ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষদের ক্ষেত্রে এসব বিষয় শিথিলযোগ্য। নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শকের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।
এর বাইরেও জরুরিসেবার আওতায় থাকা অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
২৮ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠেয় ইউনিয়নগুলো হলো: চাঁদপুরের হাইমচরের চরভৈরবী, ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া দক্ষিণ, ভোলার চরফ্যাশনের আসলামপুর ও ওমরপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কুমিল্লার সদর দক্ষিণের জোড়কানন পূর্ব, জোড়কানন পশ্চিম, বারপাড়া, চৌয়ারা ও বিজয়পুর এবং গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরের বনগ্রাম, জামালপুর ও কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ।