নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে জমির মালিকে না বলে জোর পুর্বক অবৈধ ভাবে রাতদিন পুকুর খননের হিড়িক পড়ে গেছে। আবাদি জমি গুলোতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন অব্যাহত রাখলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক ভাবে নিরব ভুমিকা পালন করছেন। এতে কৃষি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে এবং চাষাবাদ হুমকীর মুখে পড়ছে। বাগমারার ২টি পৌরসভা ও ১৬ টি ইউনিয়নে প্রায় ২০ টি পুকুর এক সাথে খনন করা হচ্ছে। এখনে বিএনপি নেতাকর্মীর ছত্র ছায়ায় এস্কেভেটর ও ড্রেজার মেশিনের সংখ্যা অর্ধশতাধিক হয়েছে, এবং সকাল ৮টার পর থেকে চালু করা হয় ড্রেজার মেশিন চলে ভোর রাত পর্যন্ত। কয়েক ঘন্টা বন্ধ রেখে আবারো শুরু করা হয় অবৈধ পুকুর খননের কাজ। এতে বর্ষা মওসুমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়বে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার শত শত বিঘা ফসলি জমি অনাবাদি এবং পাড়া-মহল্লার বাড়ি-ঘরে ডুকে পানি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকবে। অপরদিকে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে জমির প্রকৃতি (শ্রেণী) পরিবর্তন করা যাবে না।কিন্তু অবৈধ পুকুর খননকারিরা বাগমারা উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে ফসলি জমিতে চালিয়ে যাচ্ছে হরদম পুকুর খনন। তবে অনেক কৃষক প্রভাবশালী অবৈধ পুকুর খননকারীদের নাম বলতে ভয় পেতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে ভেকু ও ড্রেজারের ড্রাইভাররা বলেন, আমাদেরকে পুকুর খননকারীরা ঘন্টা প্রতি মাটি খননের জন্য ভাড়া করে নিয়ে এসেছে।তাই আমরা রাতদিন চব্বিশ ঘন্ট মাটি খনন করি।এবং ড্রেজার গুলো এখনো চলছে তাহলে আমাদের কি অপরাধ আমরাতো ভাড়াায় কাজকরি। ইফসুব,জলিল,মুক্তা সরদার,সালাম,রহিম বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যে ভাবে পুকুর খনন হয়েছে । তেমনি ভাবে বিএনপির ছেলেরা জমির মালিকে না বলে জোর পুর্বক ভাবে রাতদিন পুকুর খনন করছে। এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে আমাদের এলাকার কৃষকেরা ও গবাদী পশুর খাদ্যের সংকট দেখা দেবে। এই তিন ফসলি জমি অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কারীদের বিরুদ্ধে আমি রাজশাহী জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,বিভাগীয় কমিশনার,বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারি (ভুমি) কমিশনার বরাবর দরখাস্ত করেছি তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কৃষকদের অভিযোগ প্রভাবশালীদের হাত থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও ফসলি জমিতে নিয়মবর্হিভুত অপরিকল্পিত পুকুর খনন বন্ধের জন্য দফায় দফায় ভুক্তভোগীরা একাধিকবার স্থানীয় পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু পুকুর খননকারীরা এলাকার প্রভাবশালী ও বিএনপির নেতাকর্মী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।তবে বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের রহস্যজনক নিসক্রিয়তায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
