পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের বড়গ্রামে হিন্দু পাড়ায় সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর মারপিট করেছে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলী মেম্বর।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ রাতে মোহাম্মদ আলী মেম্বর ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে বড়গ্রামের জেলে পাড়ায় লাঠি, ফালা, হাসুয়া ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আতঙ্কিত হয়ে কান্নাকাটি করে নারী ও শিশুরা। আতঙ্কিত জেলেরা যান করমজা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচি চেয়ারম্যানকে ফোন দিলে রাত ১২ টায় তিনি ঘটনাস্থলে যান। চেয়ারম্যানের সামনেই মোহাম্মদ আলী মেম্বর ও তার দলবল বিমল হালদার, জিতেন হালদার রনজু হালদার আকাশ হালদারসহ হিন্দুদের মারপিট করে। এ সময় চেয়ারম্যান হোসেন আলী বাগচী হামলাকারীদের নিবৃত করতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করে বলে জানা গেছে।
হামলাকারীরা মন্টু হালদারের ঘর ভাংচুর এবং কয়েকটি ঘরে দা কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে বিনষ্ট করে। যাওয়ার সময় জেলেদের মোহাম্মদ আলী মেম্বর শাসিয়ে যায় থানায় অভিযোগ করলে দেশ ছাড়া করার। এরপর থেকেই গ্রামবাসী হিন্দুরা আতঙ্কে আছে।
বিমল হালদার করমজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মোহাম্মদ আলী মেম্বর। তারপর থেকেই হিন্দু জেলেদের উপর নেমে আসে নির্যাতন বলে জানান বিমল হালদার।
করমজা ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন বাগচি বলেন ‘ঘটনা আমার সামনেই ঘটেছে। ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় বিমল হালদার বাদী হয়ে মোহাম্মদ আলী মেম্বেরকে প্রাধান আসামী করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বাপারে সাঁথিয়া অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসিক মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ২৮ মার্চ মামলা রেকড হয়েছে। কোন আসামী গ্রেপ্তার হয় নাই।