প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর ও বিলকাদায় অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু ও চরের ফসলী জমির মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না।
ঈশ্বরদীর পুলিশ বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা বন্ধে ঘন ঘন অভিযান চালিয়ে ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টরসহ আসামী আটকের পরও এলাকার প্রভাবশালীদের অপকর্ম এখনও চালু রয়েছে। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন ও পদ্মার চরের ফসলী জমি থেকে ভেক্যু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটা অব্যাহত রয়েছে। এতে ওই এলাকার নদীর তীরের রাস্তা, ফসলি জমি ও বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালীরা লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি পদ্মা নদীর ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে বালূ উত্তোলন করে আসছে। শুকনো মৌসুমে অবৈধভাবে এরা মাটি কাটার ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছে। প্রশাসনের উদ্যোগে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে আসার পর দুয়েকদিন বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা বন্ধ থাকে। পরে আবারো প্রশাসনকে উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তারা কিভাবে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করছে তা নিয়ে স্থানীয় মানুষদের প্রশ্ন উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, এই অপকর্মের মূল হোতার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে । আটক হচ্ছে ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টরের চালকরা।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবিরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১০ সালের ১৫ (১) ধারার বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী পুলিশী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি.এম ইমরুল কায়েস জানান, লোকবল কম থাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। তবে আমরাও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবো।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের উদ্যোগে একাধিক ঘাটে অভিযান পরিচালনা করে কয়েক দফায় অবৈধভাবে উত্তোলিত মাটিসহ ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর আটক করে মামলা দায়ের করা হয়।