লালমনিরহাটে অফিস-আদালত প্রাঙ্গণ ফুলের সৌরভে মুখরিত। বদলে গেছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও বাসভবন, লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও বাসভবন, লালমনিরহাট জেলা পরিষদ কার্যালয়, এলজিইডি কার্যালয়, বিজিবি কার্যালয়, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ, লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বাস ভবনের সামনে বিভিন্ন জাতের সোভাবর্ধন ফুলে ফুলে মুখরিত হয়েছে। বাহারি জাতের পলাশ, গোলাপ, গাদা, শাপলা, জবা, পাতা বাহার, গন্ধরাজ, গ্লাডিওয়াল, বেলি, রক্ত কুসুম, বকুল, সূর্যমূখী, চাপা ফুল, গেন্দা, মোরগফুল, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন জাতের ফুল শোভা পাচ্ছে। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় ফুল চাষ এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লালমনিরহাটে ফুল চাষ করে যে ফুল উৎপাদন হয় তা লালমনিরহাট জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে ফুলচাষীরা জানান।লালমনিরহাটে ফাল্গুনী সাজে-সেজেছে নানা জাতের ফুল এ যেন মনকারা প্রকৃতির রুপ। বিশেষত ফুল জাতীয় গাছের বর্ণিল সাজ-সজ্জা এই সময়ের দেখার মতো মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে।ফুল চাষী আব্দুর রশিদ রুপন জানান, বেকার অবস্থায় না থেকে লাভজনক ব্যবসা ফুলের চাষ ও ব্যবসা করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা সম্ভব।সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার সম্পাদক মাসুদ রানা রাশেদ বলেন, ফুলে ফুলে ভরে উঠছে অফিসগুলো, সেই সাথে ছড়াচ্ছে শুভাসও। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেমন ফুলকে ভালোবাসছেন, তেমনি রুপে যদি জনগণকে ভালোবাসতেন তাহলে দুর্নীতি ও হয়রানী অনেকাংশে কমে যেত।