শিশু ও যুব সংগঠন বগুড়া ইয়ূথ ফোরামের আয়োজনে মাদকমুক্ত এবং শিশু বান্ধব সমাজ গড়ার প্রত্যেয়ে শনিবার রাতে শহরের আকাশতারা বগুড়া কলেজ মাঠে প্রতি বছরের ন্যায় ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট, পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বগুড়া পৌরসভার ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোস্তম আলীর সভাপতিত্বে টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে এদেশের তরুণ প্রজন্মকে প্রথমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিশু ও তরুণ প্রজন্ম যদি সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ পায় তাদের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবে এই সোনার বাংলা। শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং যুবকদের নেতৃত্ব বিকাশে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বগুড়া ইয়ূথ ফোরামের সকল কার্যক্রমের তিনি ভূয়সী প্রশংসা করে সকল ইতিবাচক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা জার্নালবিডি২৪.কম এর প্রকাশক পরিমল প্রসাদ রাজ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জামিরুল ইসলাম, বগুড়া পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর মোকছেদা বেগম, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তহিদুৎ জামান রানা, জেলা মোবাইল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখর রায়, বগুড়া ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক চাঁদনী বাজারের স্টাফ রিপোর্টার সঞ্জু রায়, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিশু সংগঠক মোক্তাদেরুল ইসলাম মিম পোদ্দার, সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর পদপার্থী রঞ্জনা বেগম, ফাহিমা বেগম প্রমুখ। টুর্নামেন্টের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইয়ূথ লিডার যথাক্রমে মেহরাব হোসেন তানভীর, রিমন প্রাং এবং রিফাত হোসেন। ৮টি দল নিয়ে শুরু হওয়া উক্ত টুর্নামেন্টে বিজয়ী হয়েছে রনি স্মৃতি সংঘ এবং রানার্স আপ হয়েছে হৃদয় স্মৃতি সংঘ। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বগুড়া ইয়ূথ ফোরাম যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিস্তর পরিসরে এলাকাতে শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে বিশেষ করে বাল্য বিবাহ রোধ, শিশু শ্রম বন্ধ, ঝড়ে পড়া শিশুদের স্কুলগামী করা, শিশু ও যুবদের নেতৃত্ব বিকাশসহ এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাম্পেইন সফলভাবে আয়োজন করেছে। সেচ্ছাসেবী এই সংগঠন স্বার্থহীনভাবে শুধু সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিগত ৫ বছর যাবত কাজ করছে যার ধারাবাহিকতা সামনেও অব্যাহত থাকবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।