কলাপাড়ায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বসতভিটা দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার লালুয়া ইউপির হাসনাপাড়া গ্রামে ৭ নং ওয়ার্ডে বেরিবাধের বাহিরে ভুক্তভোগী বাবুল আক্তারের নিজ বসত বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে বলে তিনি সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, দীর্ঘবছর যাবৎ রেকর্ডীয় মালিক সূত্রে জমি ক্রয় করে ঘর নির্মান করে শান্তিতে বসবাস করে আসছেন। গত ৩০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতের আধাঁরে হঠাৎ ভেকু (মাটি কাটার আধুনিক যন্ত্র) দিয়ে আমার সীমানার মধ্যে মাটি কাটতে শুরু করে পাশ^বর্তী চান্দুপাড়া গ্রামের বাসীন্দা শহীদ প্যাদা। এসময় বাড়ির ভিতরে একাধিক গাছ ভেকু দিয়ে উপরে ফেলা হয়। আকষ্মিক এমন ঘটনায় আমি ভয় পেয়ে যাই। পরে ঘটনাস্থলে আমার পরিবারের লোকজন নিয়ে বাধা দিলে জানতে পারি স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ফোরকান প্যাদা তার নিকটত্বীয় শহীদ প্যাদার কাছে জমি বিক্রি করেছেন। তিনি যে জমি বিক্রি করেছেন তার দাগ, খতিয়ান সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এ ব্যাপারে শহীদ প্যাদা জানান, আমি প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয় করে ফোরকান প্যাদার কাছ থেকে ১২ শতাশং জমি ক্রয় করেছি। ফোরকান প্যাদা’ই আমাকে মাটি কাটার অনুমতি দিয়েছেন। এখন বাধার মুখে আমি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছি।
এ ব্যাপারে লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক ফোরকান প্যাদার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ক্রয় সূত্রে আমি জমির মালিক নিযুক্ত থাকায় তা বিক্রি করেছি। এ নিয়ে স্থানীয় মেম্বরসহ বেশ কয়েকবার শালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত হলেও বাবুল এক বারও বসেননি। আমি কারো জমি দখল করতে যাইনি। তিনি কাগজ নিয়ে বসুক, আমি যদি জমি না পাই আমি কোনোদিনও সেখানে যাবো না। আমার নামে যে দখলের অভিযোগ দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কলাাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে কেউ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।