ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনা, নাটোরসহ দশ জেলা নিয়ে নাটোরের গুরুদাসপুরে শেষ হলো দু’দিনব্যাপি বঙ্গবন্ধু কাপ জাতীয় সেপাক টাকরো সুপার সিরিজ প্রতিযোগিতা। শনিবার এ খেলায় তিনটি ইভেন্টে খুলনা, চট্রগ্রাম ও নাটোর জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খেলা শেষে সন্ধ্যার দিকে বিজয়ীদের মাঝে ট্রফি তুলে দেন প্রধান অতিথি মো. আব্দুল কুদ্দুস এমপিসহ অতিথিবৃন্দ।
বাংলাদেশ সেপাক টাকরো অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে শুক্রবার সকালে উপজেলার খুবজীপুর অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ কমপ্লেক্স মাঠে প্রথম পর্বের খেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল কুদ্দুস এমপি। এ খেলায় সভাপতিত্ব করেন নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ পিএএ। খেলায় স্বাগতিক নাটোর, বগুড়া, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নিলফামারী, সাতক্ষীরা, মৌলভী বাজার, খুলনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা দল অংশ নেয়। ১০ দলের অংশগ্রহনে শুরু হওয়া এই খেলা দ্বিতীয় দিন শনিবার ফাইনালের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
খেলায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল কুদ্দুস এমপি বলেন, ‘মানুষের শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নের জন্য খেলাধুলা অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করতে সকল অভিভাবককে ইতিবাচক চিন্তা চেতনা নিয়ে খেলার মাঠের দিকে এগিয়ে আসতে হবে।’
এসময় তিনি ক্রীড়ামোদী মানুষদের আগ্রহ ও উদ্দীপনা বাড়াতে আগামী বছরেও একই মাঠে বঙ্গবন্ধু কাপ জাতীয় সেপাক টাকরো সুপার সিরিজ প্রতিযোগিতা উপহার দেওয়া হবে এবং আমেরিকান প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সিরাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত অর্থায়নে চলনবিলে নৌকা বাইচ, ফুটবল ও হাডুডু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলেও জানান।
প্রধান অতিথিসহ দু’দিনব্যাপি খেলাটি উপভোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সিরাজুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ ডা. আব্দুল আজিজ, অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ ও সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এবং মো. মনির হোসেন, বাংলাদেশ সেপাক টাকরো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী রাজিব উদ্দিন আহম্মেদ চপল, সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক ডালী, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক সুব্রত পাল (উপ সচিব), নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যাপক ইসমত আরা হায়দার লিটা, জাতীয় ক্রিড়া সংস্থার উপপরিচালক রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত, গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতি গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন, পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল প্রমূখ।
খেলাটির ধরণ ভলিবলের মতো হলেও হাতের ব্যবহার ব্যাতিত পায়ে কিক, বুক ও মাথা দিয়ে খেলতে হয়। থাইল্যান্ডের এই জাতীয় খেলা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে। জনপ্রিয় এই খেলাটি দেখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রীড়াপ্রেমী কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেন। এর আগেও জাতীয় পর্যায়ে সেপাক টাকরোর একটি সিরিজ এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।