রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পের অধিগ্রহনকৃত খাস জমিতে আবাদকৃত ফসল ঘরে তোলার জন্য কৃষকরা সময়ের দাবী জানিয়েছে। শুক্রবার সকালে সাবেক পূর্ব বাইচচর বর্তমান রুপ চরকনিকা মৌজায় প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার দাবী জানিয়েছে কৃষকরা। এসব জমির রবিশষ্য ঘরে তোলার জন্য প্রায় পাঁচ মাস সময় মঞ্জুরের জন্য কৃষকরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে চরের এই খাস আমরা জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। চলতি বছরও এই জমিতে কলা, মসুর, খেসাড়ী, মটর, গম, লাউ, বেগুন রোপন করা হয়েছে। এসময় কেউ নিষেধ করেনি। এসব চৈতালী ফসল ও সবজি আবাদে বিপুল অংকের টাকা খরচ হয়েছে। এই ফসল ঘরে তুলতে না পারলে আমরা পথে বসবো বলে তারা জানিয়েছেন। প্রায় ৩ মাসের মধ্যে সব ফসল কাটা শুরু হবে। শেষ হতে পাঁচ মাস সময় লাগবে। ফসল কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কাছে সময় প্রার্থনা করছি বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
কৃষক আইয়ুব আলী সরদার বলেন, আবাদকৃত বিপুল পরিমাণ কলা গাছে এখন কাদি পড়তে শুরু করেছে। তুলতে প্রায় পাঁচ মাস সময় লাগবে। এসব আবাদকৃত জমি বাদ দিয়ে অন্যান্য পরিত্যক্ত জমিতে মাটি ভরাটের জন্য তিনি দাবী করেছেন।
কৃষক লিখন হোসেন জানান, কলা ও চৈতালী ফসল আবাদে বিপুল টাকা খরচ হয়েছে। এই ফসল ঘরে তুলতে না পারলে আমরা পথে বসবো।
কৃষক রবিউল আলম রবি জানান, ইতিপূর্বে ৭৭০ জন কৃষকের ফসলের ক্ষতি বাবদ প্রকল্প থেকে ২৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিভিন্ন জটিলতায় কৃষকরা এখনও ক্ষতিপূরণ পায়নি। এই অবস্থায় নতুন করে এই ফসলের ক্ষতি হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
এব্যাপারে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইতিপূর্বে প্রকল্প এলাকার ৮০০ একর জমিতে রোপনকৃত ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ সাড়ে ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে এই এলাকায় ফসল কেউ ফসল রোপনে আমাদের জানানো হয়নি। এর কোন দায় প্রকল্প বহন করবে না।
এব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি এ ইমরুর কায়েস জানান, বিষয়টি আমি অবগতিতে নেই, বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।