বাঘায় পাইপ লাইনে বালি উত্তোলনের সময় বন্ধ করলেন ইউএনও

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মা থেকে পাইপ লাইন করে বালি উত্তোলন সময় বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মায় অভিযান চালিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধ করে দেন। একই সাথে আগামী এক দিনের মধ্যে ইজারাদারকে পাইপ তুলে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। এলাবাসি সূত্রে জানা গেছে, জেলার বাঘা উপজেলার দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পদ্মা নদী। এক সময় এই নদীটি উত্তর প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলা পাকা-রাস্তা তথা বাধ সংলগ্ন থাকলেও গত ১৫ বছরে নদীটি প্রায় ২ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকদিয়ে প্রবাহমান। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ফসলের মাঠসহ আম বাগান। স্থানীয় কৃষকরা জানায়, এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীকে সাথে নিয়ে পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরজাজুল ইসলাম (মেরাজ) স¤প্রতি কৃষি জমি ক্ষতি করে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে আসছিল। এ ভাবে বালি উত্তোলনের ফলে এক দিকে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ এবং সামনের বর্ষা মৌসুমে সমস্ত ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিনসহ এলাকার ঘর-বাড়ি ও গাছপালা ভাঙ্গার ও আশঙ্কা করছেন তারা। এ জন্য প্রতিকার চেয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সাংসদ সদস্যের নিকট একটি অভিযোগ অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন বাঘা থানা পুলিশকে সাথে করে ঘটনাস্থলে যান এবং বালি উত্তোলন বন্ধ করে দেন। একই সাথে আগামি এক দিনের মধ্যে ড্রেজারসহ পাইপ সরিয়ে ফেলারও নির্দেশ প্রদান করেন।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, বাঘার পদ্মায় জেলা প্রশাসক ও খনিজ মন্ত্রণালয় থেকে যে স্থানে বালি উত্তোলনের নির্দেশ রয়েছে সেই স্থানটির নাম রাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষী নগর ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর। অথচ বালি উত্তোলন করা হচ্ছিল কালিদাসখালি এলাকার কামাল দিয়ার মৌজায়। এ কারণে বালি উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একই সাথে পাইপসহ ড্রেজার সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।