বীরগঞ্জে ও শিশু বাচ্চাকে জিম্মি করে মাকে জোর পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের অর্জুনাহার গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী লাভলী বেগম (৩২) অভিযোগ করেন, গত ২৯ নভেম্বর/২০ইং দুপুরে স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে একই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক খানের ছেলে ইউসুফ খানসহ আরো ২/৩ বাড়ীতে ঢুকে তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। লাবলী বেগম বিবাহে প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। ইউসুফ খান তার একমাত্র শিশু সন্তান নাঈম মিয়া (৭) এর মুখ চেপে ধরে টেনে হেচরে বাড়ীর সামনে অপেক্ষমান একটি সাদা মাইক্রোবাসে মা-ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়।
অপহরন করে বীরগঞ্জ পৌরসভার বলাকামোড় এলাকার জনৈক রাজু মিয়ার বাড়ীর একটি কক্ষে আটকে রেখে যৌন সঙ্গম করার প্রস্তাব দেয় অন্যথায় একমাত্র শিশু সন্তান নাঈমকে খুন করাসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করে। ইউসুফ খান ওই দিন বেলা আনুমানিক ৩টার সময় ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষন করে ঘরের ভিতরে আটকে রাখে।
গোপনে সুযোগ বুঝে লাভলী শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে বাড়ীতে ফিরে অর্জুনাহার গ্রামের মৃত হাছেনের ছেলে আজিজুল হক, আরফান আলীর ছেলে মোতালেব হোসেন ও নোহাইল গ্রামের মৃত মনোধরের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় ঘটনার বিস্তারিত জানান। ওই দিন অভিযোগ করার জন্য থানায় যাওয়ার সময় আসামীরা পথরোধ করে বাধার সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য, ইউসুফ খান লাভলী বেগমের পূর্ব পরিচিত ছ-মিল ব্যবসায়ী, তার স্বামী অধিনস্থ একজন মিস্ত্রি, স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়ীতে এসে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে ফুসলাইত। বিষযটি আত্মীয় স্বজনকে অবহিত করে। একপর্যায় শিশু সন্তানকে জিম্মি করে বাড়ী থেকে অপহরন করে নিয়ে পালিয়ে যায়। উল্লেখিত ঘটনায় লাভলী বেগম বাদী হয়ে ইউসুফ খানকে প্রধান আসামী করে ও অজ্ঞাত পরিচয় আরো ২/৩জনকে আসামী করে থানায় এজাহার করেছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আব্দুল মতিন প্রধান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।