চলনবিলে ব্যাপক খিরা উৎপাদন হওয়ায় শুধু সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দিঘুরিয়া, রানীর হাট ও কোহিতসহ ১০টি গ্রামে প্রতিবছর গড়েউঠে খিরা বিক্রির মৌসুমি হাট। প্রতি মণ খিরা ৭৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
জানা যায়, উপজেলার কোহিত, সাচানদিঘি, সান্দুরিয়া, সড়াবাড়ি, বারুহাস, দিঘুরিয়া, দিয়ারপাড়া, তালম সাতপাড়া, নামো সিলট, খাসপাড়া, বড় পওতা, তেঁতুলিয়া, ক্ষীরপোতা, খোসালপুর, বরগ্রাম, বিয়াস আয়েস, পিপুলসোন গ্রামের মাঠের পর মাঠ খিরার আবাদ হয়ে থাকে।
নজরুল ইসলাম, জালাল উদ্দিনসহ একাধিক কৃষক জানায়, এলাকায় খিরা চাষের জন্য জমি লিজ পাওয়াই যায় না। কারণ খিরা চাষে কৃষক লাভ পাওয়ায় তারা খিরা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আর যাদের নিজস্ব জমি আছে তারা আরও বেশি লাভবান হচ্ছেন।
অপরদিকে, এসব হাটগুলোতে খিরা মৌসুমের সময় স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক খিরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, পাবনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে চলে যাচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, চলনবিলে খিরা চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। কৃষকেরা খিরা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। কৃষকেরা বিঘা প্রতি খরচ বাদে ৪০-৪৫ হাজার টাকা করে লাভ করছেন। এভাবে আগামীতে কৃষকেরা আরও বেশি জমিতে খিরা চাষ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।