নদীর মতো বহমানতা চেয়েছিলাম শুধু,
আমি এক ছোট্ট গাঁয়ের নিছক গৃহবধু।
জন্ম থেকেই পরিচিতি ছিল পিতার নামেই,
এখন আমি পরিচিত নিজের স্বামীর নামেই।
হঠাৎ এখন ইচ্ছে জাগে নিজের পরিচয়ের লোভ,
তাইতো আজ সবার জাগে আমার প্রতি ক্ষোভ।
ছোট্ট থেকেই পড়াশোনায় ছিলাম আমি ভালো,
রং যদিও আমার ছিল বরাবরই বেশ কালো।
হাসি মজা খুশির মাঝেই কেটেছিল মেয়েবেলা,
এসবের মাঝেই হঠাৎ হল বিয়ে বিয়ে খেলা।
হাজার খানেক সম্পর্ক আর হাজার দায়ভারে,
আমার আমি সর্বক্ষণই গুমরে গুমরে মরে।
নিজের সখ সাধ,নিজের স্বপ্ন গলা টিপে মেরে ফেলেছি,
অন্যরে খুশিতে খুশি হয়ে আমি দশটা বছর বেঁচেছি।
ভালো মা আমি হতে পারিনি ধৈর্য্য আমার নেই,
ভালো স্ত্রী কিম্বা ভালো বৌমার দাবীদারও হতে নেই।
সবার জন্য সবটুকু করে বদলে শুধুই নিরাশা,
দিনের শেষে আমার প্রাপ্তিযোগ একরাশ হতাশা।
একাকিত্বে ভুগেছি আমি একাকী কেটেছে রাত,
কখনও কেউ বাড়িয়ে দেয়নি ভালোবাসার হাত।
অনেক হল দিনের ইতি ফুরিয়ে এলো বেলা,
এবার শুধুই নিজের আমিকে খুঁজে নেওয়ার পালা।
নিজের গুণের জোড়ে শুধু পরিচিতি পেতে চাই,
পদবীহীন মানুষ হয়েই বাঁচতে এবার চাই।