বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে সাপাহার উপজেলার ১২০টি পরিবার পাচ্ছেন বিশেষ ডিজাইনের এই গৃহ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এই ঘর নির্মাণ কাজ করেছে, নির্মাণাধীন এসব গৃহ পরিদর্শন করে গুনগতমান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার বলেন, এদেশের একজন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সেই আলোকে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন,সারাদেশের গৃহ ভূমিহীন মানুষকে শীঘ্রই বাড়ি উপহার দিবেন সরকার প্রধান এর আগে মুজিববর্ষে দেশের সব মানুষকে ঘরের বন্দোবস্ত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্রুত গৃহ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে, আর এই মজিব শতবর্ষের মধ্যেই ভূমিহীন ও গৃহহীন ১২০ টি পরিবার মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন।মনোরম পরিবেশে আকাশী নীল টিনের ছাউনির তৈরী সারি সারি নির্মিয়মান বাড়িগুলো দেখে অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ, চোখে মুখে উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ওই ঘরে বসবাস করার অধীর আগ্রহে স্বপ্ন দেখছে গৃহহীন পরিবারগুলো।
উপজেলা প্রশাসনের সার্বক্ষণিক তদারকি ও তত্বাবধায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার তুলে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে সম্পৃক্ত করে উপজেলার সাপাহার সদর, তিলনা, শিরন্টী, আইহাই, গোয়ালা ও পাতাড়ী ইউনিয়নের প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীন উপকারভোগীদের মাঝে ঘর বন্টণের সকল প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
কয়েকজন উপকারভোগীর সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে জানা যায়, কেউ অন্যের বাড়িতে, কেউ ভাড়া বাড়িতে, আবার কেউ কেউ সরকারি খাস জমিতে কোন রকম কুঁড়েঘর তৈরি করে নিদারুণ কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নির্মিত বাড়িগুলো দেখে তাঁরা নিজের ঘরে, নিজের একটি জায়গায় বসবাস করার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে, কখন উঠবেন স্বপ্নের সেই ঘরে-এই ভাবনায় রয়েছে বিভোর। পরিবারগুলো বলেন, এত সুন্দর ইটের বাড়িতে আমাদের বসবাসের সুযোগ হবে আমরা তা কখনোই ভাবিনী, তাছাড়া ইচ্ছে থাকলেও জায়গা কিনে বাড়ি তৈরির সামর্থ্য আমাদের নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার আমাদের জন্য শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই নয় বরং একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আমরা চির কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সেই সাথে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সাপাহার উপজেলা প্রশাসনকে
বাস্তবায়নাধীন এসব প্রতিটি ঘরের জন্য মোট বরাদ্দ দেওয়া রয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এতে রয়েছে একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেটসহ সামনে খোলা বারান্দা বলে জানা গেছে।