আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি ঈশ্বরদীর অবৈধ বালুমহালে জেলা প্রশাসনের বিশেষ অভিযানে ভেকুসহ ২৬ যানবাহন জব্দ

পদ্মা নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে অবৈধভাবে মাটি-বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া লুটেরা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পাবনা জেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যাপূর্ব সময় ঈশ্বরদী শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলো মিটার দুরের লক্ষীকুণ্ডা, নবীনগর,দাদাপুর ও বিলকেদারসহ ৩টি বালু মহলে অভিযান পরিচালানা করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বায়োজিদ আকন্দ,ঈশ্বরদীর ইউএনও পি এম ইমরুল কায়েসসহ তিন ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পুলিশ ও র‌্যাব-১২’র সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন। এসময় বালু কাটার স্পটে ৭টি ভেকু মেশিন ও ১টি ট্রাক অকেজো করা হয় । নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদী ও চর থেকে অবৈধভাবে মাটি-বালু উত্তোলন ও বিক্রির সাথে জড়িত লুটেরা সিন্ডিকেটের গড ফাদার,সদস্য,শ্রমিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার বা জরিমানা আদায় করা যায়নি। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে মাজদিয়া ইসলাম পাড়া পদ্মা নদী এলাকায়ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার সাথে জড়িত ভেকু,ড্রাম ট্রাক,ছোট ট্রক ্র ট্রাক্টরসহ ১৮ টি যানবাহন জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকের জিম্বায় রাখা হয় নিয়মিত মামলা রুজ্জু করার জন্য। এসব অভিযান ও ভেকুসহ অন্যান্য যানবাহনন জব্দের বিষয়টি ঈশ^রদীর ইউএনও পি এম ইমরুল কায়েস নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী ও সরকারের উন্নয়নে বিশ্বাসীএলাকার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি পদ্মা নদীর লক্ষীকুণ্ডা , নবীনগর,দাদাপুর ও বিলকেদারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দীর্ঘদিন থেকে কোটি কোটি টাকার মাটি-বালু লোপাট কারীদের বিরুদ্ধে ঘুষ মুক্ত দুদক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। একই সাথে তারা সরকারী সম্পদ বালু-মাটি লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন ।