নরেবড়ে সাঁকো ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে পথচারিকে। প্রতি বছর বন্যার পরে এবং আগে চরবাসির একটায় চিন্তা খোর্দ্দার বুড়াই সাঁকোটির উপর দিয়ে সারা বছর পরিবার পরিজন নিয়ে চলাচল করা যাবে কি না। আর তখনেই দাবি উঠে সাঁকোটির সংস্কার ও মেরামতের । কে মেরামত করবে তা নিয়ে ভাবনার শেষ নাই চরবাসির। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয়দের সহায়তা, স্বেচ্ছাশ্রম, ইউনিয়ন পরিষদ, বিদোুৎসাহী ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় সাংসদের আর্থিক অনুদানে নিমার্ণ করা হত সাঁকোটি। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, চর খোদ্দা, লাঠশালা, বৈরাগী পাড়া, মন্ডলপাড়া গ্রাম ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজড়া এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাই গ্রামের কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত খোদ্দার ক্যানেলের ( তিস্তার শাখা নদী) উপর বুড়াইল সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। দুই উপজেলার মানুষের সেতু বন্ধনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সাঁকোটি। এ ছাড়া হাজারও স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং দুই উপজেলায় সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন সাঁকোর উপর দিয়ে।
স্থানীয় শিক্ষক রেজাউল ইসলাম জানান, সাঁকোটি ভেঙে পড়ে গেলে চরবাসি নিদারুন কষ্ট হবে। সাঁকোটি নিমার্ণ ও মেরামত করা একান্ত প্রয়োজন, তা না হলে নৌকা দিয়ে পারাপার করতে হবে পথচারিকে। সাঁকোটির যে অবস্থা তাতে করে যে কোন মহুর্ত্বে ভেঙে পড়তে পারে। তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, সাঁকোটি এর আগেও কয়েক বার মেরামত করা হয়েছে। একটি সাঁকো নিমার্ণে অনেক ব্যয়, যা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তারপরও চরবাসির চলাচলের জন্য মেরামতে ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান, দীর্ঘ দিন বন্যার কারণে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে সাঁকোটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। ।