রাজশাহী বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনােলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মু, আলী আসগরকে বেনামী চিঠি দিয়ে জীবননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ৬ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় পােষ্ট অফিসের মাধ্যমে এই চিঠি পেয়েছেন ওই শিক্ষক।
সেই চিঠিতে লিখা ছিল “যতই মামলা করিস তার কোন লাভ হবে না। এটা মনে
রাখিস তাের লােকরে চাকরী হবে না আসগর। তাের
খবর করে দিব। সাবধান থাকিস তােরে ঘিরে আছি আমরা। চুপ থাক না হলে বাচবি না।
তােরে খামু তাের মামলাও খামু”।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে গত রবিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১১ টার পরে প্রফেসর আলী আসগর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নং-২৩৯।
জিডিতে ড. মু. আলী আসগর উল্লেখ করেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনােলজি বিভাগের শিক্ষক নিয়ােগ সংক্রান্ত বিষয়ে আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী ১৮ আগস্ট,
২০১৯ তারিখে হাইকোর্টে রীট পিটিশন করি (রীট পিটিশন নং ৮৯৮৬/২০১৯) এবং উক্ত রিট পিটিশনের ভিত্তিতে ২৯ জানুয়ারি, ২০২০
তারিখের হাইকোর্টের রায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনােলজি বিভাগের তিন (০৩) জন শিক্ষকের নিয়ােগ বাতিল
হয় (রাট পিটিশন নং ৮৯৮৬/২০১৯ এর হাইকোর্টের রায়ের কপি ১১ পাতা এতদসঙ্গে সংযুক্ত)। উক্ত রীট পিটিশনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট
কর্তৃক নিয়ােগ বাতিলকৃত তিন (০৩) জন শিক্ষক হচ্ছেন- ১) শামসুন নাহার, পিতা-মােঃ মিজানুর রহমান, ২) মােঃ মুখতার হুসাইন,
পিতা-মােঃ আব্দুল আজিজ এবং ৩) রেজভী আহমেদ ভুইয়া, পিতা: মােঃ আমির হােসেন ভুঁইয়া। উক্ত রীট পিটিশন
(নং ৮৯৮৬/২০১৯) বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনে Pending (বিচারাধীন) আছে।”
এ বিষয়ে ড. মু. আলী আসগর বলেন, চিঠিটি পেয়ে নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে মতিহার থানায় (রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ) আমি জিডি করেছি।
এ বিষয়ে মতিহার থানায় ডিউটি অফিসার এস আই আব্দুল মোতালেব বলেন, বেনামী চিঠি দিয়ে উনাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে থানায় একটি জিডি করেছেন তিনি।