মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জননেতা মকসুদ হোসেন বলেছেন, ছোট লোকের দুর্নীতি পাপ ও বড় লোকের দুর্নীতি মাফ। এই দ্বৈতনীতি দেশবাসী মানে না। সম্প্রতি কক্সবাজারে মেজর সিনহা, সিলেট বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা ঘটনার মধ্য দিয়ে ওসি প্রদীপ ও এস.আই আকবরের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ও অবৈধ সম্পত্তির আয়ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনার নামে হাজার হাজার কোটি টাকার হরিলুট চলছে। শেয়ারবাজার কেলেংকারীর মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকা লুটপাটকারী, হলমার্ক কেলেংকারী, বেসিক ও ফার্মারস ব্যাংক ধ্বংসকারী আব্দুল হাই বাচ্চু গংরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং কোম্পানী থেকে পিকে হালদার সহ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লুটপাটকারী ও দেশের ভিতরে অবস্থানকারীরা এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। ঢাকার এমপি হাজী সেলিমের লালবাগ থানাতে প্রায় ২৫টি বাড়ি ও অবৈধ সম্পত্তির খবরে দেশবাসী হতবাক। এই দুর্বৃত্ত এমপি’র বিরুদ্ধে সরকারের এ্যাকশনের প্রতি মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, সাফ কথা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন চাটার দল সবকিছু খেয়ে ফেলেছে। এই চাটার দলের বিরুদ্ধে সাড়াশী অভিযান জোরদার করার দাবী করে তিনি বলেন, এক কোটি তৎউর্ধ্বের আর্থিক দুর্নীতিবাদের বিরুদ্ধে দেশবাসী ফাঁসির আইন চায় ও বিশেষ ট্রাইবুন্যাল গঠন করে দ্রুত বিচার দেখতে চায়। পুরাতন হাসপাতাল রোডস্থ দি কনফিডেন্স ’ল চেম্বারে দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম হবিগঞ্জ জেলা শাখার বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি, সাপ্তাহিক জনতার দলিল পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন ফুল মিয়া এডভোকেটের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- দুর্ণীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মশাহিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক চিনু রঞ্জন তালুকদার, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি শিক্ষিকা হালিমা খাতুন, ডাঃ শেখ এম.এ জলিল, মোঃ আলী আমজাদ, সৈয়দ জাহির আলী, অমিয় প্রভাব চৌধুরী, এম.এ মতিন চৌধুরী, ফুল কুমার হাজরা এডভোকেট, সরকারি শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি প্রভাষক অনুপম ভদ্র, সৈয়দ কামরুল হাসান সাদেক, সৈয়দ নওশাদ হোসাইন, হাফিজ জোবায়ের আহমদ, সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন, শাহানা আক্তার চৌধুরী, বেলা রাণী পাল, এটিএম আতউল হক, হাজী মোঃ ফিরোজ মিয়া চৌধুরী প্রমুখ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন মামুনকে সভাপতি ও মোবারক হোসেন ফুল মিয়া এডভোকেটকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট হবিগঞ্জ জেলা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। প্রভাষক অনুপম ভদ্রকে প্রধান উপদেষ্টা করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়।