নরেন্দ মোদি ভারতের সরকার প্রধান থাকলে, ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।
আরব নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজের জন্য প্রস্তুত। তারা ভারতের বিপক্ষে খেলতে চায়। কিন্তু ভারতের বর্তমান সরকার চায় না। এই সরকারের আমলে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের উন্নতির কোনো সুযোগ নেই। ভারতের বর্তমান সরকারের আমলে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় ক্রিকেট সিরিজের কোনো সম্ভাবনাও নেই।’
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছিল ভারত-পাকিস্তান। এরপর থেকে আর কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেনি তারা। তবে আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ইভেন্ট দেখা হয় বিশ্ব ক্রিকেটের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। ক্রিকেটপ্রেমিরা যে, দুই প্রতিন্দ্বন্দির লড়াই মিস করেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আফ্রিদিও দুই প্রতিন্দ্বন্দির লড়াই মিস করেন বলে জানান।
আফ্রিদি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে, ভারতের বিপক্ষে খেলতে পছন্দ করি, ভারতের মাটিতে খেলতে আরও পছন্দ করি। সেখানে খেলাটা সত্যিই উপভোগ্য। ভারতের ক্রিকেট ভক্তদের কাছ থেকে আমি যে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি সেটা প্রশংসনীয়। এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতের অনেক ভক্ত-সমর্থকদের কাছ থেকে মেসেজ পাই। তাদের সাথে মাঝে-মাঝে কথাও হয়। ভারতের মাটিতে আমার অভিজ্ঞতা সব সময়ই ভালো ছিল, সেখানে খেলাটা আনন্দের।’
ভারতের সাথে রাজনৈতিক সর্ম্পক খারাপ হবার কারনে, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-২০ আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দীর্ঘদিন ধরেই খেলতে পারছেন না পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা। ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরে শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব আখতার, মিসবাহ-উল-হক, কামরান আকমল, উমর গুল খেলেছিলেন। ঐ বছরই মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আইপিএলে খেলা বন্ধ হয়ে যায় পাকিস্তানীদের।
আইপিএলে খেলতে না পারাটা পাকিস্তানীদের জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে বলে মনে করেন শহিদ আফ্রিদি, ‘ক্রিকেট বিশ্বে আইপিএলে অনেক বড় ব্র্যান্ড। এই টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা আকাশ ছোয়া। সেখানে খেলতে না পারাটা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের বড় ক্ষতির। সেখানে খেলতে পারাটা বড় সুযোগ, সেখানে গিয়ে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করা, অভিজ্ঞতা বাড়ানো, সবই বড় অর্জন । কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এ সুযোগ পাচ্ছেনা।’